Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভ‚রুঙ্গামারীতে কোচিং বাণিজ্য

ভ‚রুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

কুড়িগ্রামের ভ‚রুঙ্গামারী সরকারি কলেজে নিয়মিত ক্লাসে পাঠদানে গুরুত্ব না দিয়ে বাড়তি আয়ের ধান্দায় অতিরিক্ত ক্লাসের নামে সকাল-দুপুর দুই বেলা শিক্ষার্থীদের কোচিং করতে বাধ্য করানো হচ্ছে।

শিক্ষকের অপ্রতুলতা, ক্লাসে শিক্ষকদের অনুপস্থিতি, দীর্ঘ কাল যাবৎ অধ্যক্ষ পদ শূণ্য থাকাসহ নানাবিধ কারণে ঐতিহ্যবাহী এই কলেজটিতে দীর্ঘ দিন ধরে সঠিকভাবে ক্লাস না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বেলা ১:০০ টার মধ্যে কলেজটি শিক্ষার্থী শূণ্য হয়ে যায়। ২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষানীতি অনুসারে কোন শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। তবে, প্রতিষ্ঠানের পিছিয়ে পড়া নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে অবিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারবেন। কিন্তু অবিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ইচ্ছা অনিচ্ছার তোয়াক্কা না করে নানাবিধ ভয়ভিতি দেখিয়ে গণহারে অতিরিক্ত ক্লাসের নামে বাড়তি টাকার বিনিময়ে সরকারি ক্লাস রুম, আসবাবপত্র ও বিদুৎ ব্যবহার করে কোচিং বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন বাবদ একশত টাকা এবং প্রতিমাসে আটশত টাকা করে ধার্য্য করা হয়েছে। যারা অতিরিক্ত ক্লাসের অন্তভ‚র্ক্ত থাকবে তাদেরকে পূর্ণ প্রাকটিক্যাল নম্বরসহ সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন অতিরিক্ত ক্লাস পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ। ভ‚রুঙ্গামারী সরকারি কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, যারা কোচিং ক্লাসে অংশগ্রহণ করছে না তাদের তালিকা করা হচ্ছে। ফাইনাল পরীক্ষায় তাদের দেখে নেয়া হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিয়মিত ক্লাসে কোচিং এ না আসা শিক্ষার্থীদের দাড় করিয়ে অপমান অপদস্ত করায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী কলেজে আসাই বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থীদের কিছুটা উপস্থিতি থাকলেও দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়মিত ক্লাসগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। নিয়মিত ক্লাসের দিকে নজর না দিয়ে বাড়তি টাকা ধান্দায় কতিপয় শিক্ষক অতিরিক্ত ক্লাসের নামে কোচিং বাণিজ্য শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে ভ‚রুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাগফুরুল হাসান আব্বাসী তিনি জানান, কোচিং বাণিজ্য বা অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যাপারে আমার জানা নেই। তদন্ত করে প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্য

২৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ