নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের জনপ্রিয় আসর ওয়ালটন ফেডারেশন কাপে এক ম্যাচ জিতেই শেষ আটে জায়গা করে নিলো মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রæপের ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা ১-০ গোলে হারায় স্বাধীনতা কাপ চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীকে। বিজয়ীদের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করে বদলী ফরোয়ার্ড মোঃ রবিন।
এবারের ফুটবল মৌসুমে বড় বাজেটের দল গড়ে শুরুতেই চমক দেখায় চট্টগ্রাম আবাহনী। তারকা সমৃদ্ধ এই দলটি মৌসুমসূচক টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপে সফল হলেও ফেডারেশন কাপে এসে হোঁচট খেয়েছে। এর আগে এই আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের দলটি শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে দুই পয়েন্ট খোয়ালেও এবার মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে পুরো তিন পয়েন্টর জমা রেখেই মাঠ ছেড়েছে। যার ফলে ফেডারেশন কাপ থেকে তাদের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়েছে।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় মুক্তিযোদ্ধা। তারা অনেকগুলো আক্রমণ চালায় প্রতিপক্ষ গোলমুখে। কিন্তু চট্টগ্রাম আবাহনীর শক্ত রক্ষণদূর্গ ভাঙ্গা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য। ম্যাচের ১১ মিনিটে প্রথম সুযোগ সৃষ্টি করে মুক্তিযোদ্ধা। এসময় দুই নাইজেরিয়ান সাইমন উদজিউকা ও আহমেদ কোলো মুসার সমন্বিত আক্রমণে গোলের চমৎকার সুযোগ আসে তাদের সামনে। সাইমনের ক্রসে হেড করেন কোলো মুসা। কিন্তু তার হেড চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক আশরাফুল ইসরাম রানা পাঞ্চ করে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন।
বলতে গেলে ম্যাচের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম আবাহনী গোলের তেমন সুযোগই পায়নি। তাদের দুই ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া ও সোহেল রানা তেমন ভীতি ছড়াতে পারেননি মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণভাগে। হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড লিওনেল প্রিউক্সকে বসিয়ে রাখেন কোচ জোসেফ পাভলিক। তবে প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে একটি সুযোগ আসে চট্টগ্রাম আবাহনীর সামনে। এসময় অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম প্রায় ৩০ গজ দুর থেকে শট নিলে তা গøাভসবন্দি করেন মুক্তিযোদ্ধা গোলরক্ষক মামুন মিয়া। গোলশূণ্য অবস্থায় প্রথমার্ধ শেষ হলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই এগিয়ে যেতে মরিয়া ছিলো দু’দল। কিন্তু গোল যেন ‘সোনার হরিণ’ হয়ে দেখা দেয়। চেষ্টার পর চেষ্টা চালিয়েও কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়না কেউই। তবে ম্যাচের শেষ দিকে হঠাৎ করেই যেন ভাগ্যদেবী মুখ তুলে তাকান মুক্তির দিকে। ৮২ মিনিটে গোল পেয়ে যায় তারা। এসময় মাঝমাঠ থেকে সম্মিলিত আক্রমণ ঠেকাতে এগিয়ে এসেছিলেন চট্টগ্রামের গোলরক্ষক রানা। কিন্তু মুক্তির বদলী ফরোয়ার্ড মোঃ রবিন বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে রানার পাশ দিয়ে প্লেস করেন গোলমুখ লক্ষ্য করে। একজন ডিফেন্ডার প্রানপোন চেষ্টা করেও বলের নাগাল পাননি। ফলে যা হবার তাই হলো, বল অতিক্রম করলো গোললাইন (১-০)। পিছিয়ে পড়ে যেন জেগে ওঠে চট্টগ্রাম আবাহনী। তারা প্রতিপক্ষ গোলমুখে চাপ সৃষ্টি করে। যা থেকে ম্যাচের ৯০ মিনিটে একটি পেনাল্টিও আদায় করে নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী। এসময় লিওনেল প্রিউক্সকে বক্সের ভেতর ফাউল করেন মুক্তির নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার সাইমন। রেফারী মিজানুর রহমান পেনাল্টির নির্দেশ দিলে তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন চট্টগ্রাম আবাহনীর মরক্কোর মিডফিল্ডার তারিক আর জানাবি। ফলে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি, হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় চট্টগ্রাম আবাহনীকে। এই হারে দু’ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর সংগ্রহ এক পয়েন্ট। গ্রæপের শেষ ম্যাচে যদি শেখ রাসেল-মুক্তিযোদ্ধা ড্র করে তাহলে তারাই খেলবে কোয়ার্টার ফাইনাল। রাসেল মুক্তিযোদ্ধাকে হারালেও তিন পয়েন্ট নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা টিকে থাকবে শেষ আটে। আর যদি মুক্তিযোদ্ধা ১-০ গোলে শেখ রাসেলকে হারায় তবে গোল পার্থক্য ও অন্যান্য সমীকরণ যেমন হলুদ ও লাল কার্ড পাওয়ার উপর নির্ভর করবে চট্টগ্রাম আবাহনীর ভাগ্য।
অন্যদিকে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ‘সি’ গ্রæপের দল ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১-০ গোলে হারায় উত্তর বারিধারা ক্লাবকে। ম্যাচের ২৬ মিনিটে ব্রাদার্সের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এনকোচা কিংসলে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোলটি করেন (১-০)। শেষ পর্যন্ত এই গোল আর শোধ দিতে পারেনি বারিধারা। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। এই জয়ে ব্রাদার্সের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হলেও টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো উত্তর বারিধারা। কারণ তারা গ্রæপের প্রথম ম্যাচে শেখ জামালের কাছে ২-৬ গোলে হেরেছিলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।