বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সকল ধরনের বাঁধা উপেক্ষা করেই ময়মনসিংহে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে সমাবেশ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেনে, ‘বাঁধা দিলে সমাবেশ আরো বড় হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবির আন্দোলন আরো জোরদার হবে। বাধাঁ উপেক্ষা করে কিভাবে সমাবেশ করতে হয়, বিএনপির নেতা-কর্মীরা তা জানে। প্রয়োজনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে সারা শহর অচল করে দেয়া হবে। আন্দোলনের চাপে সরকার বাধ্য হবে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে পদত্যাগ করতে। ডা: জাহিদ আরো বলেন, মনে রাখবেন আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার ৬০০দিন পূর্ন হবে। মুখে বলে নেত্রীর মুক্তি হবে না। মাঠে নেমে প্রমান করতে হবে দেশের মানুষ আপোষহীন নেত্রীর মুক্তি চায়। এ জন্য ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে সভা করে তৃণমূল পর্যন্ত আন্দোলনের ঢেউ তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সমাবেশকে সামনে রেখে লিটন আকন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য। কিন্তু সরকার জানে না এক লিটন জেলে গেলেও হাজার লিটন সমাবেশের মাঠে থাকবে।’
বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর নতুন বাজারস্থ দক্ষিণ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জামিন সাংবিধানিক অধিকার। কত খুনি-সন্ত্রাসীরা জামিন পাচ্ছে। কিন্তু বেগম জিয়া সরকারের বাঁধার কারনে জামিন পাচ্ছেন না। বর্তমানে দেশের নাজুক অবস্থা। সরকারের টপ টু বটম দূর্নীতিতে নিমজ্জিত। পতন তাদের নিশ্চিত। প্রিন্স আরো বলেন, সমাবেশ-মানববন্ধন করে বেগম জিয়ার মুক্তি হবে না। এখন অল আউট আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। প্রস্তুতি চলছে। সবাই তৈরী থাকুন। আন্দোলনের বেগে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিবে বাধ্য হবে।
সভায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন, সাবেক মন্ত্রী সিরাজুল হক, নির্বাহী সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার, ডা: মাহাবুবুর রহমান লিটন, মাহমুদুল হক রুবেল, বিএনপি নেতা মোতাহার হোসেন তালুকদার, রেজাউল করিম খান চুন্নু, মাজাহারুল ইসলাম, আবু তাহের তালুকদার, এবি সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, কাজী রানা, আলমগীর মাহমুদ আলম, মাহাবুর রহমান মাহাবুব, হেলাল আহম্মেদসহ শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা অ্যাড.এম.এ হান্নান খান, আবুল বাসার আকন্দ, আহাম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরন, এড.নূরুল হক, জাকারিয়া হারুন, জয়নাল আবেদীন, এড.আজিজুর রহমান, আখতারুল আলম ফারুক, শেখ আজিজ, রতন আকন্দ, কায়কোবাদ মামুন, নজরুল ইসলাম ভূইয়া, আনোয়ার আজিজ টুটুল, ফারজাহা রহমান হুসনা, যুবদল নেতা দিদারুল ইসলাম রাজু, মোজাম্মেল হক টুটু, জোবায়ের হোসেন শাকিল, রবিউল করিম বিপ্লব, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শহীদুল আমীন খসরু, তানভীরুল ইসলাম টুটুল, রিপন তালুকদার, জাসাস নেতা শরীফ মাহমুদূল হক সঞ্চয়, শ্রমিক দল নেতা মফিদুল ইসলাম মোহন,জিল্লু, তাতী দল নেতা জামাল আহম্মেদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।