Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হজ ও ওমরাহ ফি ৩০০ রিয়াল নির্ধারণ

হজ এজেন্সিগুলোকে আয়াটা সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৮:১৩ পিএম | আপডেট : ৮:১৮ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

১৪৪১ হিজরি থেকে বাংলাদেশী হজ ও ওমরাযাত্রায় জনপ্রতি ৩০০ সউদী রিয়াল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজকীয় সউদী সরকার সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে গত ৪ সেপ্টেম্বর উল্লেখিত ফি নির্ধারণ করে। একই সাথে সউদী কর্তৃপক্ষ ভিজিট ভিসার ফি- হ্রাস করেছে। গতকাল বুধবার ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সউদ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স লিখিতভাবে জানিয়েছেন, সউদী সরকার এক মাসের সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিজিট ভিসার ফি ২ হাজার রিয়াল থেকে কমিয়ে ৩০০ রিয়াল , তিন মাসের মালট্রিপোল ভিসার ফি ৫ হাজার রিয়াল থেকে কমিয়ে ৩০০ রিয়াল, হজ ভিসা ও ওমরাহ ভিসা ফি ৩০০ রিয়াল এবং চার দিনের ট্রানজিট ভিসা ফি ৩০০ রিয়াল নির্ধারণ করেছে।

সউদী সরকার চলতি বছর (১৪৪১ হিজরি) এক কোটি ওমরাযাত্রীর ভিসা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করেছে। ১৪৪০ হিজরিতে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ৭৫ লাখ ওমরাযাত্রী ওমরাহ পালন করেছেন। এছাড়া তিন বছরের মধ্যে একাধিকবার ওমরাপালনকারীদের জন্য নির্ধারিত অতিরিক্ত চার্জ ২ হাজার টাকা সউদী সরকার মওকুফ করেছে।

এদিকে, গত ১৩ মহররম সউদীস্থ দক্ষিণ এশীয় মোয়ংাচ্ছাছার গভর্ণিং বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. রাফাত ইসমাঈল বিন ইব্রাহিম বদর এক চিঠিতে মক্কাস্থ বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সেলর হজ মো. মাকসুদুর রহমানকে জানিয়ে দিয়েছেন , ১৪৪১ হিজরিতে হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে আয়াটা সদস্য লাভ করতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে আয়াটা সদস্যপদ গ্রহণ করতে না পারলে সউদী ই-হজ সিষ্টেমে হজ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে না।

উল্লেখিত সার্কুলার জারি হওয়ার পর আয়াটা বিহীন হজ এজেন্সিগুলোর মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। কারণ আয়াটা সদসপদ সংগ্রহ করতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি জমা রাখতে হয়। আয়াটা বিহীন একটি হজ এজেন্সির স্বত্বাধিকারী বলেন, হঠাৎ করে আয়াটা সদস্যপদ গ্রহণের নির্দেশনা জারি হওয়ায় অনেক হজ এজেন্সিই জামানতের অর্থ যোগাতে না পেরে এবার হজের কাজে অংশ নিতে পারবে না। এছাড়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে লিমিটেড হজ এজেন্সিগুলোর আয়াটা সদসপদ লাভের অনুমতি মিলতে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়।



 

Show all comments
  • Shahjalal Khan ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:৪৩ পিএম says : 0
    Very good job
    Total Reply(0) Reply
  • Nil ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ৭:২৭ পিএম says : 0
    Chiting batper ra r taka marte parbe na. Darun
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী আরব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ