Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে ভারী নিউট্রন নক্ষত্রের খোঁজ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৫:৩৫ পিএম

এই প্রথম প্রচণ্ড ভারী একটি নিউট্রন নক্ষত্রের খোঁজ পাওয়া গেল। মৃত এই তারার বিক্ষিপ্ত টুকরো অংশের ওজনই আমাদের সূর্যের ভরের দেড় থেকে তিন গুণ বেশী! এতেই ধারণা করা যায় মৃত নক্ষত্রটি কত ভারী ছিল!

এর আগে, ব্রহ্মাণ্ডের যে সবচেয়ে ভারী নিউট্রন নক্ষত্রের দেখা পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা, তার ওজন আমাদের সূর্যের ভরের ২.১৭ গুণ। ব্যাস ৩০ কিলোমিটার। এর আগে এত ভারী নিউট্রন নক্ষত্রের আর হদিশ মেলেনি এই ব্রহ্মাণ্ডে। নিউট্রন নক্ষত্রের চেয়ে বেশি ঘনত্বের আর কোনও মহাজাগতিক বস্তুর হদিশও ব্রহ্মাণ্ডে এখনও পর্যন্ত পাননি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ওই অসম্ভব ভারী নিউট্রন নক্ষত্রটি রয়েছে আমাদের থেকে ৪ হাজার ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে। আমেরিকার ‘ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনে’র (এনএসএফ) ‘গ্রিন ব্যাঙ্ক টেলিস্কোপে’ ধরা পড়ছে সেই নিউট্রন নক্ষত্র। যে কৃতিত্বের দাবিদার আমেরিকার ‘ন্যানোগ্র্যাভ ফিজিক্স ফ্রন্টিয়ার্স সেন্টার’। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার-অ্যাস্ট্রোনমি’-তে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত ওই সবচেয়ে ভারী নিউট্রন নক্ষত্রটির নাম, ‘জে-০৭৪০+৬৬২০’।

তারাদের মৃত্যুর সময় হয় প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। যাকে বলে সুপারনোভা। সেই সময় বিশাল তারাটির কিছু অংশ ভিতরের অত্যন্ত জোরালো বলের টানে চুপসে যায়। তারাটির ভর সূর্যের ভরের তিন গুণের বেশি হলে সুপারনোভার পর তার কিছুটা অংশ পরিণত হয় ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরে। আর মৃত তারার শরীরের অবশিষ্ট অংশের ভর যদি হয় সূর্যের ভরের দেড় থেকে তিন গুণের মধ্যে, তা হলে তা হয়ে পড়ে নিউট্রন নক্ষত্র। যা শুধুই তৈরি হয় প্রচুর পরিমাণ নিউট্রন দিয়ে। এখনও পর্যন্ত এমন অন্তত চারটি নিউট্রন নক্ষত্রের খোঁজ পাওয়া গেছে, যাদের গ্রহও রয়েছে।

সূত্র: সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিউট্রন নক্ষত্র
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ