পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অনেক স্বপ্ন নিয়ে আট মাস আগে সউদী আরবে গিয়েছিলেন সিলেটের আবু বক্কর। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হয় তাকে। কাজের বৈধ অনুমোদন (আকামা) থাকা সত্ত্বেও সেদেশের পুলিশ ধরে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে জানান আবু বক্কর।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সউদী এয়ারলাইন্সের বিমান যোগে বক্করের মতো ফেরেন ১৬০ জন বাংলাদেশি। আর এ নিয়ে গত তিন দিনে ফিরলেন ৩৮৯ জন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে কাজ করা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরীফুল হাসান ইউএনবিকে এসব তথ্য জানান। আগের দিনের মতো এবারে দেশে ফেরা কর্মীদেরকে বিমানবন্দরের ওয়েজ অনার্স কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে বিমানবন্দরে খাবারসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা প্রদান করে।
রাতে ফেরত আসা চাঁদপুরের জামাল জানান, সাড়ে চার হাজার রিয়াল দিয়ে আকামা করার দুমাসের মাথায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পুলিশ ধরে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।
পটুয়াখালীর বায়জিদ, মানিকগঞ্জের আবু সাইদ, মাদারীপুরের নাসিম, কুমিল্লার জামাল, মুন্সিগঞ্জের মিজান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টিপু সুলতান, মাদারীপুরের সিরাজ, কুষ্টিয়ার জহুরুলসহ ১৬০ বাংলাদেশির সবার এমন অভিযোগ।
তারা বলছেন, বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও তাদের জোরপূর্বক ধরে জেলে কিছুদিন আটকে রেখে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। কিছু কর্মী অভিযোগ করেছেন কফিল (মালিক) আকামা নতুন করে নবায়ন করেনি বা আকামা বাতিল করে তাদের দেশে পাঠানো হচ্ছে।
এক্ষেত্রে সউদীস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের কোন সহযোগিতা করেনি অভিযোগ করে কর্মীরা আরও বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখনই ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হবে।
শরীফুল হাসান জানান, গত নয় মাসে ১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশিকে সউদী আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।