Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টেক্সাসে আক্রান্ত ছয়জন

প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য টেক্সাসে মশাবাহিত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ছয়জন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যটির স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর মধ্যে হস্টনেই শনাক্ত করা হয়েছে তিনজনকে। ছয়জনের সবাই দেশের বাইরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে টেক্সাস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট হেলথ সার্ভিসেস। তবে গত শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) পর্যন্ত এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। বিশেষ প্রজাতির ডেঙ্গুজ্বর ছড়ানো এডিস এজিপ্টি মশকির মাধ্যমে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, দক্ষিণ, মধ্য ও উত্তর আমেরাকায় এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে।
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বরের সঙ্গে ত্বকে দাগ এবং মাংসপেশী ও হাড়ের জয়েন্টে ব্যাথার সৃষ্টি হয়। গর্ভবতী কোনো নারী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার সন্তান ছোট মাথা বা মাইক্রোসেফালি রোগ নিয়ে জন্ম নিতে পারে। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাজিলে গত অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত চার হাজার মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত শিশুর জন্ম হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধশতের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচজনের শরীরে জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বছর দুয়েকের মধ্যে জিকা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার সম্ভব হলেও তা অনুমোদন পেতে লেগে যেতে পারে আরও এক দশক সময়। এই সময়ে জিকা মহামারী আকার ধারণ করতে পারে। কাজেই যেসব স্থানে পানি জমে থাকে এবং মশা প্রজণন ঘটাতে পারে, সেসব স্থান পরিষ্কার রাখাই এ রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়। সেই সঙ্গে যেসব দেশে জিকার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, সেসব দেশে ভ্রমণ না করাই উত্তম। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টেক্সাসে আক্রান্ত ছয়জন

৩১ জানুয়ারি, ২০১৬
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ