Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সেনা এমপির কণ্ঠে স্বৈরতন্ত্রের সুর

মিয়ানমারে গণতন্ত্রকে ‘বিশৃঙ্খলাপূর্ণ’ হিসেবে অভিহিত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

নেপিডোতে রোববার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সামরিক বাহিনীর নিযুক্ত এক সদস্য দেশের বর্তমান গণতন্ত্রকে ‘বিশৃঙ্খলাপ‚র্ণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। লে. কর্নেল কিওয়া মো আং তার বক্তৃতায় বলেন, মিয়ানমারের গণতন্ত্র অবশ্যই সুশৃঙ্খল হতে হবে। আইনি বিধিবিধান অনুযায়ী গণতন্ত্র পরিচালিত হতে হবে। গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলায় আনাতে না পারলে তা বিশৃঙ্খল হয়ে পড়বে। মিয়ানমারে ‘নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রকে’ অনেক সময় ‘শৃঙ্খলাবদ্ধ বিকশিত গণতন্ত্র’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। সাবেক স্বৈরাচার সিনিয়র জেনারেল থান সুয়ের সামরিক সরকার এই পরিভাষাটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করত। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি আসলে গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে সামরিক শাসন জারি রাখার একটি কৌশল। সিনিয়র জেনারেল থান সু ১৯৯২ থেকে ২০১১ পর্যন্ত মিয়ানমার শাসন করেছেন। এর আগে গণতন্ত্র আন্দোলনের ফলে ১৯৮৮ সালে আরেক স্বৈরাচার জেনারেল নে উইনের এক দলীয় শাসনের অবসান ঘটেছিল। লে. কর্নেল মো আংয়ের মন্তব্যে মনে হচ্ছে, সামরিক বাহিনীর সহায়তা ছাড়া মিয়ানমার সফল গণতন্ত্র পেতে পারে না। মিয়ানমারের ২০০৮ সালের সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে সামরিক বাহিনীর ২৫ ভাগ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আর সংবিধান সংশোধন করার জন্য আইনপ্রণেতাদের ৭৫ ভাগের সমর্থন প্রয়োজন। এছাড়া জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর প্রধান যেকোনো দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন, নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারবেন। গত জানুয়ারিতে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) অগণতান্ত্রিক সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এনএলডি সরকার পুরো সংবিধান পরীক্ষা করার জন্য পার্লামেন্টে চার্টার অ্যামেন্ডমেন্ট কমিটি গঠন করে। সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেনা এমপি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ