মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সউদী আরবের তেল প্লান্টে হামলার পেছনে ইরান আছে এমনটি মনে হলেও যুদ্ধে যেতে চান না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ হামলার জেরে তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে নতুন আরেকটি লড়াই শুরু হওয়ার আশঙ্কা জোরালো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতেই সোমবার এ মন্তব্য করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। শনিবারের ওই হামলায় বিশ্বের বৃহত্তম তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এতে কয়েক দশকের মধ্যে অপরিশোধিত তেলের দামে সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন ঘটে। গত বছর ট্রাম্প ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে তেহরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক কর্মস‚চীর ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করলে যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। মধ্যপ্রাচ্যের ইরান সমর্থিত বাহিনীগুলোকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করানোর জন্যও তেহরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চায় ওয়াশিংটন, এসব বাহিনীগুলোর মধ্যে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরাও আছে যাদের সঙ্গে সউদী নেতৃত্বাধীন বাহিনীগুলো চার বছর ধরে লড়াই করছে। সৌদি আরবের তেল প্লান্টে হামলার দায় হুতিরা স্বীকার করলেও এর পেছনে ইরান আছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের, এটি তদন্ত করেও দেখছে তারা। “এই ম‚হুর্তে নিশ্চিতভাবেই সেটি এমনই দেখাচ্ছে,” সউদীতে হামলা নিয়ে নিজেদের দাবির পক্ষে বলেছেন ট্রাম্প; কিন্তু তারপরও সউদী আরবের পক্ষ হয়ে তিনি লড়াইয়ে জড়াতে যাচ্ছেন না বলে পরিষ্কার করেছেন। “আমি এমন একজন মানুষ যে যুদ্ধ করতে চায় না,” বলেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং জ্বালানিমন্ত্রী রিক পেরিসহ দেশটির বেশ কয়েকজন মন্ত্রী হামলার জন্য তেহরানকে দায়ী করেছেন। পম্পেও ও অন্যরা শিগগিরিই সউদী আরব সফর করবেন বলে জানিয়েছে ট্রাম্প। তেল প্লান্টে হামলার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা ‘হামলার জন্য প্রস্তুত আছে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প, কিন্তু এর একদিন পর সোমবার তিনি জানান, তেমনটি করার ‘কোনো তাড়া নেই’। অপরদিকে, তেল শিল্পক্ষেত্রে হামলার পর ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ কর্মকর্তা জেন্স স্টলটেনবার্গ। ইরান সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যকেই ‘অস্থিতিশীল করে তুলছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি, জানিয়েছে বিবিসি। এর আগে সোমবার যুক্তরাষ্ট্র সউদীর তেল শিল্পের কেন্দ্রস্থলে ‘নজিরবিহীন’ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে। ওয়াশিংটন হামলার দায় ইরানকে দিলেও তেহরান প্রথম থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি হামলাটিকে ‘ইয়েমেনি জনগণের পাল্টা আঘাত’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন।শনিবার হামলার পরপরই ইয়েমেনের ইরানঘনিষ্ঠ হুতিরা এর দায় স্বীকার করে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।