পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আসামির কাছ থেকে ইয়াবা জব্দ করে তাদের ছেড়ে দিয়ে ইয়াবা ভাগবাটোয়ারা ও বিক্রির প্রস্তুতির সময় গ্রেফতাকৃত পাঁচ পুলিশের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় উত্তরা পশ্চিম থানায় মাদক আইনে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই থানার পরিদর্শক পরিদশ চন্দ্র। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম কনক বড়–য়া তিনজনকে তিনদিন ও দুই জনকে দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
যাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে তারা হলেন-গুলশান থানার এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজী (৪৪), এপিবিএনের কনস্টেবল প্রশান্ত মÐল (২৩) ও নায়েক মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৭)। যাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে তারা হলেন-এপিবিএনের কনস্টেবল মো. রনি মোল্ল্যা (২১) ও কনস্টেবল মো. শরিফুল ইসলাম (২৩)।
উল্লেখ্য, গত রোববার গ্রেফতারের পর এপিবিএনের চার পুলিশ কর্মকর্তা এবং গুলশান থানার এক এএসআইকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ৩৬ (১) ও ৪১ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে উত্তরার এপিবিএন-১ সদর দফতরের ব্যারাক ভবনের চতুর্থ তলার বাথরুমের সামনে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ইয়াবার ভাগবাটোয়ারা করছে। তখনই তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে একটি টিম অভিযান চালায় সেই বাথরুমে। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এপিবিএন-১ এর এসআই মো. আবু জাফর। অভিযানে বাথরুমের সামনে গিয়ে কনস্টেবল প্রশান্ত মÐল, কনস্টেবল রনি মোল্ল্যা ও কনস্টেবল শরিফুল ইসলামকে দেখতে পায় তারা। এরপর তাদের নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হয়। বিস্তারিত পরিচয় নেয়ার পর তল্লাশি চালানো হয় কনস্টেবল প্রশান্ত মÐলকে। তার পরিহিত ফুল প্যান্টের ডান পকেট থেকে ১৫৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে অভিযান চালানো হয় মÐলের ব্যারাকের রুমে। সেখানে তার কাপড়ের ট্রাঙ্ক থেকে আরও ৩৯৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ কনস্টেবল শরিফুলের কাছ থেকে ইয়াবা বিক্রির নগদ ১৫ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এর পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শরীফুলকে। জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে জানায়, সে কনস্টেবল রনি মোল্ল্যার কাছ থেকে ১৮৫০০ টাকায় ১৫০ পিস ইয়াবা কিনেছে। এরপর গ্রেফতার করা হয় রনিকে। সর্বশেষ প্রশান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ১১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় গুলশানের গুদারাঘাট চেকপোস্টে একটি মোটরসাইকেল তল্লাশি করে আরোহীর কাছ থেকে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে যোগসাজশ করে তাকে ছেড়ে দিয়ে তার কাছে থাকা ২০০ পিস ইয়াবা গুলশানের এএসআই মাসুদ মিয়াজী তার হেফাজতে রাখে। বাকি ১৫০ পিস নেয় জাহাঙ্গীর আলম।
ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ইয়াবাসহ ৫ পুলিশ গ্রেফতারের বিষয়টি থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও তদন্ত করছেন। বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম মনিটরিং করছেন। গ্রেফতারের বাইরে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ সদর দফতর থেকে সারাদেশের মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত যে-ই হউক, তার পরিচয় একটাই সে মাদক ব্যবসায়ী। যে ৫ পুলিশ সদস্যকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।