Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রিয়াদ ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নিবে : ট্রাম্পকে সউদী যুবরাজ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৬:১২ পিএম

সউদী আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুইটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের ড্রোন হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে রিয়াদ। ভয়াবহ ওই হামলার পর সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। এ সময় যুবরাজ ট্রাম্পকে সাফ জানিয়ে দেন, এ হামলার জবাব দিতে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
যুবরাজ বলেন, ওই হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার মতো সক্ষমতা ও প্রস্তুতি দুটোই রিয়াদের রয়েছে। তারপরও নিরাপত্তা ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী সউদী আরব।
২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সউদী আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। ওই লড়াই শুরুর পর থেকে সউদী আরবে বেশ কয়েক দফায় হামলা চালানোর স্বীকারোক্তি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তারা সউদী আরবের দুইটি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালায়। এতে ওই স্থাপনাগুলোতে আগুন লাগে। ফলে দুনিয়াজুড়ে জ্বালানি সরবরাহে বিঘœ ঘটে। এ ঘটনায় তেলের উৎপাদন অর্ধেকে নামিয়ে আনে রিয়াদ।
হামলার পর হুথি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে জানান, ইয়েমেনের ওপর পাঁচ বছরের আগ্রাসন ও অবরোধের যে জবাব দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ বৈধ ও স্বাভাবিক।
সউদী প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার টেলিফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যুবরাজের কথা হয়েছে। এ সময় এমবিএস জানান, ‘সন্ত্রাসী হামালা মোকাবিলায় রিয়াদ সক্ষম ও প্রস্তুত।’
যুক্তরাষ্ট্রের সউদী দূতাবাসের এক বিবৃতি বলা হয়েছে, ট্রাম্প এমবিএস-কে জানিয়েছেন, ‘ড্রোন হামলার পর সউদী আরবের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশটিকে সহায়তায় প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।’
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সউদী আরবে প্রায় ১০০ হামলার পেছনে তেহরান জড়িত। উত্তেজনা হ্রাসের সব আহ্বানের মধ্যেও ইরান এখন বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহে ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে।’
সউদী আরবের ঘাঁটিগুলোতে হামলায় ব্যবহৃত হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো ইরান তাদেরকে সরবরাহ করে। বরাবরই এমন অভিযোগ করে আসছে রিয়াদ। তেহরান ও হুথি বিদ্রোহীরা অবশ্য বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এদিকে সউদী আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানিতে হুথিদের ড্রোন হামলার পর ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর একজন কমান্ডার দাবি করেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ও বিমান ক্যারিয়ারগুলো তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে।



 

Show all comments
  • মোয়াজ্জেম হোসেন ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৬:৫৯ পিএম says : 0
    সউদী আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুইটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় যে হামলা হয়েছে, যা তৃতীয় কোন অশুভ শক্তি উক্ত হামলা করেছে, কারণ সউদী আরব এবং ইরানের মাঝে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা। সউদী আরবকে প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সাথে সু-সম্পর্ক, ঐক্য বজায় রাখতে হবে যা আরব ভূ-খন্ডে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এবং অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ