পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এব বিবৃতিতে বলেছেন, বিজেপী
সরকার আসামের ক্ষমতাসীন ১৯ লাখ মানুষের ভারতীয় নাগরিকত্ব কেঁড়ে নিয়েছে। আসামের মাটিতে রোহিঙ্গাদের মতো আরেকটি গণহত্যার করুণ পরিণতি আমরা দেখতে চাই না। বাদ পড়া নাগরিকদের বাংলাদেশী বলে বহিষ্কারের উদ্যোগ মুসলিম ও বাংলাদেশ বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নীতিমালা ভঙ্গ করে ভারতীয় নাগরিকদের ‘বাংলাদেশী’ আখ্যা দিয়ে পুশব্যাকের প্রস্তুতি এবং স্বেচ্ছায় না গেলে গুলি করার হুমকির বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে অবশ্যই অবিলম্বে জোর প্রতিবাদ জানাতে হবে। আসামে যাদেরকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বাংলাদেশী বলে নাগরিক তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। এই ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক ও চরম অমানবিকই শুধু নয়, বরং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপরও মারাত্মক হুমকি তৈরি করেছে। বাংলাদেশ সরকারের কর্তব্য, বিজেপীর মুসলিম ও বাংলাদেশ বিরোধী এমন অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ করা। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, বৌদ্ধধর্মের আবির্ভাব ঘটেছে ভারতে, অথচ বৌদ্ধদেরকে ভারতের মাটিতে হত্যা ও নির্মূল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত আবার ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে আইনের মারপ্যাঁচে আসাম থেকে ১৯ লক্ষ গরিব ও মজলুম মুসলিম অধিবাসীদেরকে উৎখাত ও নির্মূল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এটি আদতে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা গণহত্যা ও বিতাড়নের মতোই বিজেপির ‘রোহিঙ্গাকরণ’ প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, আসামের ঘটনাপ্রবাহে সন্দেহ করা যাচ্ছে, ভারতে রোহিঙ্গাদের মতোই ভয়াবহ রক্তপাতের পরিস্থিতি আসন্ন। পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও রক্তগঙ্গা ও গৃহযুদ্ধ ঘটতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন।
আল্লামা কাসেমী বলেন, ভারতীয় হিন্দুত্ববাদিদের চরম উস্কানির মুখেও বাংলাদেশের জনগণ ধৈর্য্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সরকারের নির্লিপ্ততা আমাদের বিস্মিত করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।