পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শ্রীলঙ্কায় জঙ্গি হামলায় নিহত শিশু জায়ান চৌধুরীর নামে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। জায়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি। গতকাল শনিবার প্রায় সোয়া পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্কটির নামকরণ ও উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম। জায়ান চৌধুরীর স্মৃতি রক্ষার্থে তার নাম অনুসারে মাঠটি ‘শহীদ জায়ান চৌধুরী খেলার মাঠ’ নামে নামকরণ করা হয়। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জঙ্গি হামলায় নিহত হয় জায়ান।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে মেয়র বলেন, বনানীর এ মাঠটি শ্রীলঙ্কায় সা¤প্রতিক সন্ত্রাসী বোমা হামলায় নিহত জায়ান চৌধুরীর নামে নামকরণ করা হয়েছে। জায়ান এলাকার অন্য শিশুদের সঙ্গে এ মাঠে খেলত। তার মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে এ মাঠটি তার নামে রাখা হয়েছে। আতিকুল ইসলাম বলেন, জায়ান চৌধুরীর মতো আর কাউকে যেন প্রাণ দিতে না হয় এবং সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ যেন গড়তে পারি আমাদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নগরবাসীর খেলাধুলা, শরীরচর্চা এবং বিনোদনের জন্য ডিএনসিসির ২৬টি পার্ক ও খেলার মাঠের সংস্কার কাজ খুব দ্রæত সম্পন্ন হবে। এর মধ্যে চারটি পার্কের সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে বলে জানান ঢাকা উত্তরের মেয়র।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে জায়ানের নানা শেখ সেলিম বলেন, সা¤প্রদায়িকতার বাড়াবড়ির কারণে জায়ানকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
ডিএনসিসি জানায়, শহীদ জায়ান চৌধুরী বনানীর এই মাঠে খেলাধুলা করতো। ডিএনসিসি তার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মাঠটির নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি নিয়ে গত ২২ মে ডিএনসিসি’র ২৯তম বোর্ড সভায় প্রস্তাব তোলা হলে সর্বসম্মতিক্রমে তা অনুমোদন দেওয়া হয়। ২৮ মে, ডিএনসিসির সড়ক অবকাঠামো নামকরণ উপ-কমিটির সভায় সুপারিশসহ স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে মন্ত্রণালয় সেটি অনুমোদন দেয়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস এম কনস্ট্রাকশন উন্নয়ন কাজটি সম্পন্ন করবে। ৫ কোটি ১৯ লাখ ১৭ হাজার ১৭০ টাকা ব্যয়ে আগামী বছর ১ মার্চের মধ্যে ২ দশমিক ৪৮ একর আয়তনের মাঠটির উন্নয়ন কাজ শেষ হবে। স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা এবং বয়সী মানুষের, বিভিন্ন ক্লাব, সোসাইটির অংশগ্রহণে তাদের চাহিদা অনুযায়ী মাঠটির ডিজাইন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে জায়ানের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ড. তারিক বিন ইউসুফ, জায়ান চৌধুরীর বাবা মশিউল হক চৌধুরী, দাদা মতিনুল হক (এমএইচ) চৌধুরী, স্থানীয় কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।