রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে
উত্তরের জনপদ নীলফামারীর সৈয়দপুরে কাঁঠাল ও আমগাছে জায়ান্ট মিলিবাগ পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফলে চাষিরা ফলন নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। চাষিরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ গ্রহণ না করায় এসব পোকার আক্রমন বেড়েই চলেছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন কাঁঠাল ও আম গাছগুলোর শেকড়ের উপরের অংশ হতে গাঁ-বেয়ে ওঠে আঠার মতো লেগে আছে জায়ান্ট মিলিবাগ পোকা। এ সকল পোকা কাঁঠাল ও আম গাছগুলোর শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগের কচিপাতা, কুশি, ডগা, ফলের বোটাতে দলবদ্ধভাবে সাদা রংয়ের চাদর বিছিয়ে বসে আছে। চুষে খাচ্ছে অঙ্কুরিত ফলের রস। এতে কাঁঠালের মুচি ও আমের মুকুল ও নতুন পাতাগুলো কালো বর্ণ ধারণ করে ঝরে পড়ছে। এছাড়াও জায়ান্ট মিলিবাগ বিভিন্ন ফলজ গাছেও দেখা গেছে। আক্রান্ত গাছ সংলগ্ন মানুষ বসবাসের ঘরের দেয়াল, মেঝে, দরজা, জানালায় এদের অবাধ বিচরণ দেখা গেছে। এ পোকা বাড়ির ভেতরে বিচরণ নিয়ে অনেকে বিরক্তি প্রকাশ করেন। আবার অনেকে অভিযোগ করেন, এ পোকাটি যে বাড়ির কাঁঠাল ও আমগাছে দেখা গেছে, সে বাড়িতেই এলার্জিসহ নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। তাই এ পোকা হতে রেহাই পেতে নানান প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রয়োগ করছেন। তবে কোন কিছুই কাজে আসছে না বলে জানান তারা। শহরের রেজা সাইকেল গ্যারেজের মালিক রেজা জানান, এ পোকাটি দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে আমাদের আমগাছে দেখছি। প্রতি বছর এ মৌসুমে এদের বেশি দেখা যায়। আবার তাপদাহ যত বাড়বে এর বৃদ্ধি তত বাড়বে। তবে বর্ষা আসলে আর এগুলো দেখা যায় না। সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হোমায়রা ম-ল জানান, এ উপজেলায় পরিকল্পিতভাবে কোন আম ও কাঁঠালগাছের বাগান নেই। আবাদি জমির পাশে, সড়কে কিংবা বাড়ির বাহির আঙ্গিনায় বিছিন্নভাবে কাঁঠালগাছ আছে। আর এ সকল গাছের ফলনে স্থানীয় চাহিদা পূরণ হয়। এ কারণে কাঁঠাল আমদানি করার প্রয়োজন হয় না। তবে এর ফলন বাড়াতে আরো উদ্বুদ্ধ করে চাষিদের সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কাঁঠাল ও আমগাছে জায়ান্ট মিলিবাগ পোকার আক্রমন সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যে গাছে একবার আক্রমণ করে। আবারো পরের বছর সে গাছেই উঠে। তবে এর দমন করা সম্ভব। এই পোকার সবচেয়ে বড় ওষুধ হলো পানি স্প্রে করা। সৈয়দপুর উপজেলার উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুনীল কুমার দাস জানান, এ পোকাটি দমনে ফানেল ট্রেপ ব্যবহার করা যায়। এছাড়া ট্রেপ ও গাছের মাঝামাঝি বাঁকলের মাঝে ফাঁকা জায়গায় মোম দিয়ে বন্ধ করে কীটনাশক ছিটিয়ে ও আক্রান্ত গাছের গোড়ার মাটি শোধন করা পদ্ধতির মাধ্যমে এ পোকা রোধ করা যায়। আর এ পদ্ধতিগুলোই আমরা নির্দেশনা দিচ্ছি আক্রান্ত গাছের মালিকদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।