পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী হিসেবে অংশ নেয়া দলীয় পদধারী ১৭৭ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কারণ দর্শানোর প্রথম ধাপের এ নোটিশের পর দ্বিতীয় ধাপে মদদদাতাদেরও চিঠি দেয়া হবে।
গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যানুযায়ী, কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে ১৭৭ নেতার স্থায়ী ঠিকানায় রেজিস্ট্রি ডাকযোগে কারণ দর্শানোর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। জানা গেছে, শুধুমাত্র দলীয় পদধারী আওয়ামী লীগ নেতাদের শোকজ পাঠানো হয়েছে গত সোমবার ও বুধবার। মঙ্গলবার সরকারি ছুটি থাকায় কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি। এ প্রসঙ্গে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫০ এর মতো শোকজ নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। শোকজের জবাবের জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমপি-মন্ত্রী যারা মদদদাতা তারাও শোকজ পাবে। তবে তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি। তিনি বলেন, মদদদাতাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাও থাকতে পারে। যাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও মদদ দেয়ার অভিযোগ আছে, তারা সবাই শোকজ পাবে।
এদিকে এমপি মন্ত্রীদের শোকজের বিষয়ে আজ গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আলোচনা হবে। জানা গেছে, ইতোমধ্যে ৬২ জন মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের মদদদাতা হিসেবে আওয়ামী লীগের কাছে অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর (বীর প্রতীক), বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দিন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, পাবনার সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম বকুল, কুমিল্লা-২ আসনের এমপি সেলিমা আহমাদ মেরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের এবাদুল করিম বুলবুল, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, ময়মনসিংহ-৯ আসনের আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, মুন্সীগঞ্জ সদরের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণচন্দ্র চন্দ, চুয়াডাঙ্গার সংসদ সদস্য আলী আজগর টগর, সোলায়মান হক জোয়ার্দার, গাজীপুরের ইকবাল হোসেন সবুজ, বরগুনার ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, ঠাকুরগাঁওয়ের দবিরুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের মোয়াজ্জেম হোসেন, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের ড. আজিজ, সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।