Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রাণ ফিরেছে ঐতিহ্যে

লক্ষ্মীপুরের দালাল বাজার জমিদার বাড়ি

এস, এম বাবুল (বাবর), লক্ষ্মীপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

লক্ষ্মীপুরে প্রাচীন ঐতিহ্যের একটি অনন্য নিদর্শন দালাল বাজার জমিদার বাড়ি। ৭ দশমিক ৮৬ একর জায়গায়র উপর থাকা এ বাড়িটি নয়নাভিরাম বৈচিত্র সৌন্দর্যয়-পিপাসু মনকে আমোদিত করত। কিন্তু একটি স্বার্থন্বেষী কুচক্রি মহলের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাড়িটি বেদখল অবস্থায় পড়ে ছিল। অযত্নে অবহেলায় আর বন জঙ্গলে ভরা ছিল বাড়িটি। অসামিজক কার্যক্রমও চলত কখনো কখনো।
জানা যায়, ১৯৬৬-৬৭ সালে জমিদার বাড়িটি অর্পিত সম্পত্তি হওয়ার পর একসনা বন্দোবস্ত দেয় তৎকালীন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক। বিগত ৪৭ বছর ধরে লীজমানি না দিয়ে অবৈধ দখলে থাকার চেষ্টা করে কিছু অসাধু ব্যক্তি। এরপর ২০১৫ সালে ওই লিজ বাতিলের পাশপাশি ২১ জুন ২০১৫ সনে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগে নেয় ল²ীপুর জেলা প্রশাসক।

পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবৈধ দখলদারী কুচক্রী মহল উচ্চ আদালতে রিট করে। দীর্ঘ শুনানির পর গত ২৯ আগস্ট তা খারিজ করে দেয় আদালত। অবশেষে উচ্চ আদালতে রায় পেয়ে ল²ীপুর দালাবাজারে দুশ’ বছরের সেই পুরোনো জমিদার বাড়ি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ২০১৮ সালের ৪ঠা জুনয়ারি ঐতিহাসিক নির্দশন বিবেচনা করে প্রতœতাত্বিক অধিদফতর স্থাপনাটিকে সংরক্ষণযোগ্য ভূমি হিসেবে তা গেজেট প্রকাশ করে।
জমিদার বাড়িটি সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হলে জেলা ঐতিহ্য হিসেবে দৃষ্টান্তের পাশপাশি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে বলে মনে করেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, প্রাচীন এই নিদর্শনকে সাধারণ মানুষসহ ভ্রমণ পিপাসু ও পর্যটন প্রেমিদের আকর্ষণ করতে সংস্কার ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হচ্ছে। বাড়ি সংস্কারের জন্য কিছু বরাদ্দও এসেছে। প্রতিদিন জমিদার বাড়ির এসব সৌন্দর্য বর্ধনের তদারকি করা হচ্ছে। বাড়িটির চার পাশ মেরামত করে তৈরি করা হবে সুন্দর বাগিচা।

তিনি বলেন, ল²ীপুরের কোন সংরক্ষিত অতীত ঐতিহ্যের স্থান নেই। পাশের খোয়া সাগর দিঘি সৌন্দর্যের পাশপাশি সবার অনুপ্রেরণা পেলে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জমিদার বাড়িটিও পর্যটন বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ