Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবারও দরপতন শেয়ারবাজারে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৬:৪০ পিএম

দুই কার্যদিবস কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আবারও দরপতন হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে কমেছে সবকটি মূল্য সূচক। এর আগে টানা ছয় কার্যদিবস দরপতনের পর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুই বাজারেই সবকটি সূচক বাড়ে। যদিও লেনদেনে অংশ নেয়ার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছিল।

মূলত ব্যাংকের ওপর ভর করে সূচকের ওই ঊর্ধ্বমখীতার দেখা মিলে। তবে সোমবার ব্যাংক খাত সেই ধারাবাহিকতা আর রাখতে পারেনি। দিনভর একের পর এক ব্যাংকের শেয়ার দামের পতন হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে অন্য খাতের ওপরে। ফলে পতন হয়েছে সবকটি সূচকের। অবশ্য সব থেকে বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম কিছুটা বেড়েছে। যা মূল্য সূচককে বড় পতনের হাত থেকেও রক্ষা করেছে।

শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা আস্থা সংকটে ভুগছেন। যার প্রভাবে শেয়ারবাজারও ধুঁকছে। এখন শেয়ারবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোই বড় চ্যালেঞ্জ। আস্থা সংকটের কারণেই দুই কার্যদিবস কিছু ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বাজারে বিক্রির চাপ বেড়েছে। ফলে দরপতন হয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২৩৭টির। আর ৪২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এ দরপতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বাকি দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

মূল্য সূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমলেও এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪০৭ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৭১ কোটি ৬১ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

বাজারটিতে টাকার পরিমাণে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যশনাল টিউবসের শেয়ার। কোম্পানিটির ২২ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইবনে সিনার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার লেনদেনে হয়েছে। ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে ওঠে এসেছে মুন্নু সিরামিক।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, স্টাইল ক্রাফট, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, ওয়াটা কেমিক্যাল, বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল, আইটিসি এবং গ্রামীণফোন।

দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২২৮ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি ৪৫৮ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৫৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫০টির, কমেছে ১৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি শেয়ারের দাম।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেয়ারবাজার

৫ জানুয়ারি, ২০২২
২৫ ডিসেম্বর, ২০২০
৬ অক্টোবর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ