চট্টগ্রামের বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ছে। তবে দাম এখনও চড়া। সাইজ ভেদে প্রতিকেজি ইলিশ ৫০০-দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তাজা ইলিশের স্বাদ নিতে কাকডাকা ভোরে ফিশারিঘাটে হাজির হচ্ছেন ভোজনরসিকরা। নগরীর বাজারগুলোতে ইলিশের পাশাপাশি অন্যান্য মাছের সরবরাহও স্বাভাবিক। সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে কমছে না পেঁয়াজের ঝাঁঝ।
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের দাম ৫৫-৬০ টাকা। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে। মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এরপরও দাম কমছে না। ক্রেতারা এজন্য সিন্ডিকেটের কারসাজিকে দায়ী করছেন। রসুন এবং আদার দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। প্রতিকেজি আদা ১৫০-১৬০ টাকা, রসুন ১৪০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিকেজি কোরাল মাছ ৬০০-৭০০ টাকা, রুই ২৮০-৩০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুপচাঁদা আকারভেদে ৭০০-১০০০ টাকা, লাক্ষা ৮০০-১০০০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে ৪০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লইট্টা মাছের সরবরাহ বেড়েছে। প্রতিকেজি তাজা লইট্টা ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি বাজারে খামার ও পুকুরের মাছের সরবরাহও স্বাভাবিক রয়েছে।
শাকসবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বরবটি ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ঢেড়স ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, ঝিঙ্গে ৪৫-৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০-৪৫ টাকা, কচুর ছড়া ৪০ টাকা, কাকরোল ৫৫-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, তিতা করলা ৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৩০-৪০ টাকা, লাউ ৩০-৪০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি জোড়া ১০ টাকা, পটল প্রতিকেজি ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শীতের সবজিও দেখা যাচ্ছে। শিম ১০০-১৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৯০ টাকা এবং মুলা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাজর প্রতিকেজি ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ৮০-১০০ টাকা, ক্ষিরা ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি ১৩০-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালিকা ১৩৫-১৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০-৪০০ টাকা, হাড়সহ গরুর গোশত ৫৫০ টাকা এবং হাড় ছাড়া ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম কমে ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিম ডজন ১৩০ টাকা।