পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাশ্মীরে গণহত্যা বন্ধ ও তাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে এ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে কাশ্মীরের জনগণের সাংবিধানিক মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। কাশ্মীরে গণহত্যা-নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে মোদি সরকার বিশ্বে সন্ত্রাসী সরকার হিসেবে পরিচয় লাভ করেছে। কাশ্মীরে বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন বন্ধে বিশ্ব মুসলিমকে এগিয়ে আসতে হবে।
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ-এর সভাপতি তোফায়েল গাজালির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দীন ইকরাম, মুফতি রেজাউল করীম, প্রিন্সিপাল মাওলানা বেলায়েত হোসাইন আল ফিরোজী, নিজাম উদ্দীন আল আদনান, কে এম খায়রুল ইসলাম, হাফেজ মুহাম্মদ, হাসান মুহাম্মদ শহীদ, জুনায়েদ আমীন, আবুল হাসান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারত সরকার কাশ্মীর জনগণের ওপর অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করেছে। কাশ্মীরে গণহত্যা চলছে। এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ এবং কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে না দিলে তার পরিণতি শুভ হবে না। পরে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
বাংলাদেশ ইমাম মুসল্লি কল্যাণ পরিষদ
কাশ্মীরে গণহত্যা বন্ধ এবং সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে গতকাল বাদ জুমা দোলাইরপাড় থেকে বাংলাদেশ ইমাম মুসল্লি কল্যাণ পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা হাসান বিন বাশারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এ সময়ে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেনর, কাশ্মীরে মোদি সরকারের বর্বরোচিত হামলা, ন্যক্কারজনক এবং মানবতাবিরোধী আচরণে বিশ্ব হতবাক।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কাশ্মীরে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ না করলে বাংলাদেশের মুসলমানরা নীরবে বসে থাকবে না। তারা অবিলম্বে কাশ্মীরে সাংবিধানিক মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ভারতের প্রতিশ্রুতির ওপর আস্থা রাখা যায় না। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল, গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের ওয়াদা রদ, সিমলা চুক্তির অবমাননা ও বাবরী মসজিদ পুনঃনির্মাণের অঙ্গীকার ভঙ্গ তারই প্রকৃষ্ট প্রমাণ।
সাংগঠনিক সম্পাদক পীরজাদা সৈয়দ মো. আহছানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মুফতি আবদুল কাইয়ূমের সঞ্চালনায় গতকাল নেজামে ইসলাম পার্টির পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘কাশ্মীর কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। এতে আরো বক্তৃতা করেন যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন, মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক ও মাওলানা ওবায়দুল হক, মাওলানা মমিনুল ইসলাম, আজহার আলী, মাওলানা সাইদুর রহমান, কামাল পাশা দোজা ও ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সীমান্তবর্তী আসাম রাজ্যে নাগরিকপঞ্জি চলার সমস্যায় বিধ্বস্ত মুসলমানরা। তাদের দেশ হারানোর শঙ্কা তীব্রতর হচ্ছে। আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) নামে ১৯ লাখ মুসলিম তাড়ানোর ফন্দিফিকির করা হচ্ছে। তেলেঙ্গানাসহ বিজেপি শাসিত আরো কয়েকটি রাজ্যেও মুসলমানদের বিতাড়নের নতুন নীলনকশা হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মুখে কাশ্মীরের মুসলমানদের বিপর্যয়কর অবস্থার সৃষ্টি করা হয়েছে। কাশ্মীরের গণহত্যা ও নির্যাতনের ব্যাপারে নীরব দর্শকের ভ‚মিকায় অবতীর্ণ বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজ, পেশাজীবী ও শিক্ষাজীবীরা। তারা যেন কারো কাছে ‘বিবেক বন্ধক’ রেখেছেন। দিল্লি অখুশি হয় এমন কিছু করতে নারাজ এসব দল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কাশ্মীর প্রশ্নে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো, বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজ, চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদরা নীরব। দেশে তথাকথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ উঠলেই যারা প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন, তাদেরকে কাশ্মীরসহ ভারতে মুসলিম বিদ্বেষের প্রতিবাদ করতে অনীহ মনোভাব পোষণ করতে দেখা যায়; অথচ বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব।
নেতৃবৃন্দ কাশ্মীরের জনগণের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য বিশ্বের স্বাধীনতাকামীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।