Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শৃঙ্খলা নয় মামলাতে চোখ

রাজধানীর সড়কে নৈরাজ্য ঠেকাতে ব্যর্থ ট্রাফিক পুলিশ

নূরুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল মামুন | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:০৬ এএম

আগস্টে ২ লাখ মামলায় ১১ কোটি টাকা জরিমানা সেবা সংস্থার পরিবর্তে ডিএমপি রাজস্ব আদায়ের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে : পুলিশ কমিশনার
সকাল সোয়া ৯টা। ঢাকা-চট্টগ্রাম ৮ লেন মহাসড়কের কুতুবখালী অংশে যানজটে আটকে আছে অনেকগুলো গাড়ি। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠার আগে রাস্তার উপর এলোপাথারি বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে। একটা নয়, বেশ কয়েকটি বাসে যাত্রী তোলা হচ্ছে। হেলপাররা সজোরে হাঁক ছাড়ছে এই ডাইরেক্ট গুলিস্তান, উপর দিয়া গুলিস্তান। রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পেছনে অপেক্ষমান অনেকগুলো প্রাইভেট কার, দুরপাল্লার বাসসহ অন্যান্য যানবাহন। ফলাফল যানবাহনের দীর্ঘ সারি, যানজট। রাস্তার ওপাড়ে একজন ট্রাফিক সার্জেন্টের নেতৃত্বে তিনজন পুলিশের সেদিকে নজর নেই। তারা ব্যস্ত ঢাকা থেকে বের হওয়া গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা নিয়ে। রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে বেছে বেছে দুজন কনস্টেবল গাড়ি আটকাচ্ছেন। আর ট্রাফিক সার্জেন্ট কাগজপত্র পরীক্ষা করে মামলা দিচ্ছেন। অথচ সার্জেন্টের সামনেই রাস্তার এপাড়ে তখন যানবাহনের বিশৃঙ্খলায় দীর্ঘ যানজট।

দুপুর ২টা ৮ মিনিট। যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে একটি মোটরসাইকেল এসে গুলিস্তানে ফ্লাইওভারের গোড়ায় নামে। মোটরসাইকেলটি সামনে এগুতে গেলে থামতে ইশারা দেন দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। রাস্তা উপর দাঁড়িয়েই কয়েক মিনিট ধরে কাগজপত্র তল্লাশী করেন ওই সার্জেন্ট। একপর্যায়ে তিনি মামলা দিতে উদ্যত হলে মেয়ের অসুস্থতার কথা বলে সার্জেন্টের কাছে মামলা না দিতে অনুরোধ করেন মোটরসাইকেল চালক। মেয়ের ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার রিপোর্ট আনতে ওই চালক নারায়ণগঞ্জ থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন বলে জানান। তখন সার্জেন্ট মামলা না দিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। একই সময়ে আরও কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশাকে কাগজ তল্লাশীর জন্য ওই মোড়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এভাবে ফ্লাইওভারের গোড়ায় দাঁড়িয়ে কাগজপত্র তল্লাশীর কারণে ফ্লাইওভার থেকে নামা বিভিন্ন যানবাহনকে মোড় ঘুরতে বেগ পেতে হয়। ট্রাফিক পুলিশের গাড়ি থামানো ও মামলার কাজে ব্যস্ত থাকায় নিয়ন্ত্রণহীন চালকরা নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো গাড়ি ঘোরান। এতে ফ্লাইওভারের গোড়ায় যানজট ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

বেলা প্রায় সাড়ে তিনটা। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের সামনের রাস্তায় এলোপাথারি দাঁড়িয়ে দুরপাল্লার বাস। হেলপাররা যাত্রীদের ডাকাডাকি করছে। ট্রেন আসছে সে কারণে রেলগেটের সিগনাল বার ফেলানো। তাতে রেল গেটের দুপাশেই গাড়ির দীর্ঘ সারি। ট্রাফিক সার্জেন্ট মিজান এলেন। এদিক-ওদিক দেখে সোজা চলে গেলেন টার্মিনালের ভিতর। রাস্তায় থকন এএসআই জিল্লুর, সাথে একজন কনস্টেবল ও একজন আনসার। কনস্টেবলের বুকে নেমপ্লেট না থাকায় নাম জানা গেল না। সার্জেন্ট সাহেব কোথায় জানতে চাইলে বলেন, আজ পেমেন্ট ডে, তাই টার্মিনালের ভেতরে গেছেন। ওই কনস্টেবলের সাথে কথা বলে জানা গেল, বৃহস্পতিবার ইজিবাই, ব্যাটারি রিকশাসহ বিভিন্ন অবৈধ যানের মালিকেরা টোকেনের বিপরীতে একটা নির্দ্দিষ্ট অঙ্কের চাঁদা দিয়ে পরের সপ্তাহের স্টিকার সংগ্রহ করে থাকেন।

রাজধানীর ব্যস্ত এলাকার তিনটি স্পটের দৃশ্য এগুলো। সড়কে গণপরিবহনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ট্রাফিক পুলিশের কোনো উদ্যোগই চোখে পড়েনি। বরং পুলিশ ব্যস্ত মামলা নিয়ে। সড়কে এই বিশৃঙ্খলার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তৈরি হচ্ছে লম্বা যানজট। ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

সড়কের বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে গত বছর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনও হয়েছে রাজধানীতে। আন্দোলনের পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বেশ কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কিন্তু এসব পদক্ষেপের পরেও শৃঙ্খলা ফেরেনি ঢাকার সড়কে।

মাঠ পর্যায়ে ট্রাফিক পুলিশ শৃঙ্খলা ফেরানোর থেকে বেঁধে দেওয়া মামলার টার্গেট পূরণে মনোযোগী বলেও অভিযোগ রয়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ি ধরে ধরে মামলা দেয়াই যেনো ট্রাফিক পুলিশের প্রধান কাজ। সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে তাদের কোনো দায় নেই। এ কারণে রাজধানীর ট্রাাফিক ব্যবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, আইন না মানার সংস্কৃতির কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলা। ফলে সেবা সংস্থার পরিবর্তে ডিএমপি রাজস্ব আদায়ের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৭তম সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গেল আগস্টে রাজধানীতে বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ২ লাখের বেশি মামলা করেছে পুলিশ। এতে প্রায় ১১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া গত ৫ দিনে ৩৫ হাজারের বেশি মামলায় দেড় কোটি টাকার মতো জরিমানা করা হয়েছে। সরাসরি মামলার পাশাপাশি ভিডিও মামলার কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৬ সাল থেকে। ডিএমপির উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম ট্রাফিক বিভাগে চারটি মিডিয়া টিম গঠন করা হয় ভিডিও মামলার জন্য। এই চার টিমের মধ্যে পূর্ব ও পশ্চিমের টিম নিয়মিত ভিডিও মামলা করলেও বাকি দুই টিমের কোনো খোঁজ খবর নেই।

ট্রাফিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ৬ হাজার ৭৪৯ টি ও ২০১৭ সালে ২৪ হাজার ৩৬৯ টি ভিডিও মামলা করা হয়। এরপর ২০১৮ ও ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় ভিডিও মামলায় মনোযোগী হয়নি ট্রাফিক পুলিশ। অবশ্য ট্রাফিক পুলিশের দাবি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে তারা নিয়মিত মামলা ও মোটা অঙ্কের জরিমানা করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ভিডিও মামলার বিষয়ে যে দুটি টিম নিয়মিত কাজ করছে তারাও শৃঙ্খলা রক্ষায় নয়, টার্গেট পূরণে বেশি মনোযোগী। তারা সারা মাস ধরে কাজ করছে না। টার্গেট পূরণের জন্য মাসের শেষ পাঁচ দিন তাড়াহুড়া করে ৭০-৮০টি ভিডিও মামলা দিচ্ছেন। এতে অনেক নিরপরাধ চালক মামলার শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। আগস্ট মাসের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আগস্ট মাস জুড়ে ভিডিও মামলা হয়েছে ২৫৮ টি। যার মধ্যে ২৫৩টি মামলা হয়েছে শেষ পাঁচ দিনে।

গতকাল রাজধানীর কয়েকটি স্পটে ঘুরে দেখা গেছে, ট্রাফিক পুলিশ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে তেমন কোনো কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে না। ট্রাফিক পুলিশের সামনেই বাসে যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা করছে। এলোপাথারি বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে। গুলিস্তান সার্জেন্ট আহাদ পুলিশের বক্সের সামনেই চারটি বাস চার লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ৮ লেনের মহাসড়কে পুলিশের সামনেই উল্টোপথে রিকশা, ভ্যান চলছে। মহাসড়কের উপরে দাঁড়িয়েই বাসে যাত্রী তোলা হচ্ছে। গুলিস্তান ফ্লাইওভারে ওঠার আগে এক সাথে ১০/১২টি বাস দাঁড়িয়ে ফ্লাইওভারে ওঠার রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে। কুড়িল বিশ্বরোডে রিকশার একাধিক সারিতে গাড়ি চলতে পারেেছ না। বাসগুলো খেয়াল খুশিমতো দাঁড়ানোর কারণে হঠাৎ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তাতে যাত্রী ও পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এসবই ঘটছে ট্রাফিক পুলিশের চোখের সামনেই। এছাড়া রাজধানীর অধিকাংশ রাস্তায় চালক ও পথচারীরা ট্রাফিক আইন মানেন না। এ বিষয়ে ট্রাফিক সার্জেন্টরা তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না।

গাড়ির চালকরা জানান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মামলা দিতে ট্রাফিক সার্জেন্টদের মধ্যে অতি-উৎসাহ দেখা যায়। অনেকের অভিযোগ মাসের শুরু কিংবা শেষ দিকে সার্জেন্টদের মধ্যে মামলা দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে নির্দিষ্ট মাসে মামলার টার্গেট পূরণ করা। এসব বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ধরে রাখার জন্য যতোটুকু করা যায় ট্রাফিক পুলিশ ততোটুকুই করার চেষ্টা করে। শৃঙ্খলা ফেরাতে মামলার পাশাপাশি মোটিভেশনও করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা বিশ্বেই শৃঙ্খলার সাথে জরিমানার একটা সম্পর্ক আছে। জরিমানা করা হয় বলেই ভয়ে অনেকে ট্রাফিক আইন মেনে চলে। তবে আমাদের দেশে জরিমানার পরিমাণ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, তবে এটা ঠিক ট্রাফিক আইন সম্পর্কে মানুষ এখন অনেক সচেতন।

এর আগে, নিরাপত সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর শৃঙ্খলা ফেরাতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। দায়সারা গোছের এসব উদ্যোগের বেশিরভাগই আলোর মুখ দেখেনি। ফলে এখনও সড়কে আগের বিশৃঙ্খলাই বিরাজ করছে। কোন কোন ক্ষেত্রে তা বেড়েছেও।

গত বছর বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খান ও করিমের মৃত্যুর ঘটনার পরপর সারাদেশে যখন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তোলে তখন সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর নির্দেশনা দেয়া হয়। সংসদে সড়ক আইন ২০১৮ পাস হয়। সে আইন পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তৎকালীন সরকারেরই এক ক্ষমতাধর মন্ত্রীর সংগঠনের নেতারা এর বিরোধিতা করেন। আইনটি যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য দেশব্যাপী ধর্মঘট ডেকে জিম্মি দশায় ফেলে পুরো দেশবাসীকে।

এরপর সড়কে একের পর এক ঘটনা ঘটে গেছে। স¤প্রতি মন্ত্রণালয়েও শতাধিক সড়কে শৃঙখলা ফেরাতে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় কমিটি। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীও সবশেষ একনেক বৈঠকে সড়ক শৃঙ্খলার ফেরানোর নির্দেশ দেন। সর্বশেষ বিআইডবিøউটিসির কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় ট্রাস্ট পরিবহনের একটি বাসের চাপায় পা হারানোর পর রাজধানীর গণপরিবহনের শৃঙ্খলা আলোচনায় আসে। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সড়কের শৃঙখলা নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ আয়োজিত সেমিনারে বলেছেন, সমন্বয়হীনতার কারণেই সড়কে শৃঙ্খলা আনা যাচ্ছে না। অবস্থার উন্নতি করতে না পারলে সামনে তা আরও ভয়াবহ হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) হিসাব মতে, গত এক বছরে ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ২৯৭ জন। নিহত ব্যক্তিদের প্রায় ৩৮ শতাংশই পথচারী। ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ১লা জুলাই পর্যন্ত ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য পর্যালোচনা করে প্রতিষ্ঠানটি সর্বশেষ এই হিসাব দিয়েছে। এর মধ্যে শুধু বিমানবন্দর সড়কে মারা গেছেন ৪৬ জন।

সড়ক সংশ্লিষ্টদের মতে, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বিআরটিএ’র অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি ও দালালদের দৌরাত্ম্য, পরিবহন সেক্টরের দুর্বৃত্তায়ন, বেপরোয়া চালকদের আগে যাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা, অভিযুক্ত চালক-মালিক ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বিচার ও শাস্তি না হওয়া, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজের উদাসীনতা ও সমন্বয়হীনতা এবং ক্ষমতাসীন ও প্রভাবশালীদের হাতে পরিবহন সেক্টর কুক্ষিগত থাকায় কোনোভাবেই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না। ##

 



 

Show all comments
  • Syed Ashad ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
    মামলা দিয়ে পুলিশ কি কমিশন পায়...? আমাদের যে পুলিশবাদী সরকার, হয়তো পুলিশদের আয়ের একটা সেক্টর করেদিলো... কারন পুলিশরা এখন তাদের ডিউটির নির্দিষ্ট জায়গা বাদ দিয়ে... রাস্তার পাশে, লোকের ভিড়ে ও চিপায় ওৎ পেতে থাকে মামলা দেয়ার জন্য...
    Total Reply(0) Reply
  • Jahed Hassan ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
    যারা ৫ টাকা ১০ টাকার জন্যও ভিক্ষুকের মত ড্রাইবারদের কাছে হাতপাতে তাদের পক্ষে আধৌ কি সম্ভব ???
    Total Reply(0) Reply
  • Zia Khan ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
    Right
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Delwar Hossain ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
    একদম ঠিক! নিজের চোখে দেখে এসেছি!
    Total Reply(0) Reply
  • Elias Md Akash ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
    জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে হবে। তবেই কাজ দিবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Engr Mohi Uddin ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
    উনারা সরকারি চাকরি করেন কিন্তু মামলা করলে আবার কমিশন পান।
    Total Reply(0) Reply
  • Farid Ahmed Uzjal ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
    যে ট্রাফিক দুই টাকা পর্যন্ত ঘুষ খায় সে আবার সফল হবে কিভাবে
    Total Reply(0) Reply
  • Arif Aman ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
    তারা তো স্ট্রিটবেগার,তাই সর্বক্ষণ তারা ভিক্ষার জন্য ড্রাইভার দের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকে।
    Total Reply(0) Reply
  • আপন জন ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
    ঘুষ খোর,চাদাবাজ,পুলিশ দিয়ে অবৈধ কাজ ই হবে ওরা ভাল কিছু পারেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • ash ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৫:০২ এএম says : 0
    JE DESH E ........., ......... SHORORASHTRO MONTRI HOY, SHE DESH E KISU E HOY NA
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শৃঙ্খলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ