পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইসলামী বিধি-বিধান না মানার কারণে পারিবারিক বন্ধন, সামাজিক বিশৃঙ্খলা চরম আকার ধারণ করছে। সমাজে ব্যাপকহারে পরকীয়া, লিভটুগেদারসহ নানাবিধ হারাম কাজ চলছে। শহর কিংবা গ্রাম সবখানেই চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে ইসলামের অন্যতম বিধান পর্দার অমোঘ বিধান। সব ধরণের আযাব গজব ও বিপর্যয় থেকে বাঁচতে আল্লাহপাকের সমস্ত নাফরমানি ছাড়তে হবে, গুনাহমুক্ত জীবন যাপন করতে হবে, সব ধরণের পাপাচার পরিহার করে জীবন পরিচালনা করতে হবে। গতকাল শুক্রবার বরিশালের ঐহিত্যবাহি চরমোনাই মাদরাসা মসজিদে জুমার আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বর্তমান সময়ে একদিকে যেমন করোনাভাইরাসের মহামারি চলছে, সেই সাথে দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়ছে। সুতরাং আমাদের সব ধরণের গুনাহ ছাড়তে হবে এবং তওবা ইস্তেগফার করতে হবে। আজকের এই বিপযয় আমাদেরই কৃতকর্মের ফল। এজন্য মুত্তাকীর গুণে গুণান্বিত হতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সকলকে মুত্তাকী হতে হবে। মুত্তাকী হলে আল্লাহ তায়ালা দুইটি পুরষ্কার দিবেন। একটি হল যেকোনো মুসিবতে আল্লাহ তায়ালা তার রাস্তা খুলে দিবেন। দ্বিতীয়টি তার রিজিক অফুরন্ত বেহিসাব হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, কোরআন-হাদীস চর্চার কেন্দ্রগুলো অবিলম্বে খুলে দিয়ে কোরআন ও হাদীস চর্চার সুযোগ করে দিলে আল্লাহর অজস্র নেয়ামত বর্ষিত হতে থাকবে। কাজেই আল কালক্ষেপন না করে অবিলম্বে কওমি মাদরাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।