নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্রিকেট পাড়ায় তার বয়স নিয়ে হাস্যরস হয় প্রায়ই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও হন ট্রলের শিকার। কিন্তু রেকর্ড বই তো আর সেসবের ধার ধারে না। ধারণ করবে অফিসিয়াল হিসাবই। সেই হিসাব বলছে, গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস করেই রেকর্ডের পাতায় উঠে গেছেন রশিদ খানের নাম। টেস্ট ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক এখন এই আফগান লেগ স্পিনার। ক্রিকইনফো বলছে, টেস্ট অধিনায়কত্বে অভিষেকের দিনটিতে (গতকাল) রশিদের বয়স ২০ বছর ৩৫০ দিন। সবচেয়ে কম বয়সে টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া আগের ক্রিকেটার ছিলেন টাটেন্ডা টাইবু। ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারারে টেস্টে টস করার দিন টাইবুর বয়স ছিল ২০ বছর ৩৫৮ দিন।
টেস্ট রেকর্ড গড়ার দেড় বছর আগে ওয়ানডের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়কের রেকর্ডটিও করে রেখেছেন রশিদ। স্থায়ীভাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর এই চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে শুরু হয়েছে অধিনায়ক হিসেবে তার যাত্রা। তবে এর আগে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ৪টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই লেগ স্পিনার। গত বছরের ৪ মার্চ বুলাওয়ায়োতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে যেদিন নেতৃত্ব দিলেন রশিদ, বয়স ছিল তার ১৯ বছর ১৬৫ দিন। আগের রেকর্ডটি ছিল বাংলাদেশের রাজিন সালেহ আলমের। মূল অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের চোটে ২০০৪ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নেতৃত্ব পেয়েছিলেন রাজিন। নেতত্বে অভিষেকের দিন তার বয়স ছিল ২০ বছর ২৯৭ দিন।
টেস্টের রেকর্ডটি টাইবুর আগে দীর্ঘদিন ছিল মনসুর আলি খান পতৌদির। ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের একজন বলে বিবেচিত পতৌদির নেতৃত্বের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২১ বছর ৭৭ দিন বয়সে। ১৯৬২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্রিজটাউন টেস্টে টস করেছিলেন তিনি প্রথমবার। ৪২ বছর পর পতৌদির রেকর্ড ভেঙেছিলেন টাইবু। তার ১৫ বছর পর নতুন রেকর্ড গড়লেন রশিদ।
টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে রশিদ জানিয়েছিলেন, এত দ্রুত নেতৃত্ব পেয়ে তিনি কতটা রোমাঞ্চিত, ‘এত কম বয়সে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারা দারুণ ব্যাপার। অনেক কম বয়সেই অনেক কিছু শেখার অনেক বড় সুযোগ এটি আমার জন্য। নেতৃত্ব দেওয়া বাদ দিন, দলে থাকাটাই অনেক বড় ব্যাপার। টেস্টে দলের প্রতিনিধিত্ব করাই আমার জন্য অনেক গর্বের ও তৃপ্তির। সেখানে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারা আরও বেশি স্পেশাল ও রোমাঞ্চকর। ভালো করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমি এবং শতভাগ উজার করে দেব।’
মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে প্রায় দুই দশকের অভিজ্ঞ বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে দলের যে অবস্থা তাতে নিশ্চিত করেই বলা যায়, সেই গর্ব আর তৃপ্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে বহুগুণে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।