গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
খুলনা ব্যুরো : অপকর্মে লিপ্ত থাকা অবস্থায় দেখে ফেলায় শিশু সন্তান হাসমি মিয়াকে (৯) ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে মায়ের সামনে হত্যা করে ঘাতকরা। হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ সিমেন্টের বস্তায় ভরে খুলনা বাইপাস সড়কসংলগ্ন সরদার ডাঙ্গা বিলের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। হত্যাকাÐের অভিযোগে গ্রেফতার মা সোনিয়া বেগম আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উপরোক্ত তথ্য দিয়েছে। শনিবার বিকেলে খুলনা মহানগর হাকিম ফারুক ইকবালের আদালত এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আদালতের সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন রাত পৌনে ৯টার দিকে শিশু হাসমি মিয়ার মা সোনিয়া বেগম বখাটে যুবক নুরুন্নবী (২০) ও রসুলের (২২) সাথে ৫০০ টাকা চুক্তিতে সরদার ডাঙ্গা বাগানের (বাঁশঝাড়) মধ্যে অপকর্মে লিপ্ত হয়। এ সময় তার সন্তান হাসমি ঘটনা দেখে ফেলায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সে মোতাবেক মায়ের সামনেই নুরুন্নবী ধারালো ছুরি দিয়ে হাসমিকে জবাই করে। হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ওই রাতেই লাশ সিমেন্টের বস্তায় ভরে খুলনা বাইপাস সড়কসংলগ্ন সরদার ডাঙ্গা বিলের মধ্যে ফেলে দেয়া হয় বলে সে স্বীকার করেছে। পরদিন ঘটনাটি সোনিয়া তার প্রেমিক আসাদুজ্জামান আসাদকে জানায়। আসাদ কেসিসি’র ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সালামের ভাই। পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ২০০৬ সালে মানিকতলার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খানের কন্যা সোনিয়ার সাথে মোঃ হাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। এর ৬ মাস পর হাফিজুর রহমান বিদেশে চলে যায়। স্বামীর অনুপস্থিতিতে সোনিয়ার চলাফেরা উচ্ছৃঙ্খল হতে থাকে।
সে বিভিন্ন যুবকদের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। স্বামী হাফিজুর রহমান দেশে আসার পর বিষয়টি জানতে পারে। এরপর হাফিজুর রহমান স্ত্রীকে শোধরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে গত ৬ মাস আগে তাকে তালাক দেন।
এদিকে, তালাকের পরও গত ৬ জুন সোনিয়া তাদের দু’ সন্তান হাসমি ও হাসফি’র মধ্যে বড় ছেলে হাসমিকে স্বামীর কাছ থেকে নিজের কাছে নিয়ে আসে। উদ্দেশ্য ছিল ছেলে হাসমিকে গুম করে স্বামীর কাছ থেকে অর্থ আদায় করা। কিন্তু বিষয়টি অন্যদিকে চলে যায় বলেও সোনিয়া আদালতে স্বীকার করেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আড়ংঘাটা থানার এস আই মোঃ মিজানুর রহমান জানান, মা সোনিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির মাধ্যমে হত্যাকাÐের মূল রহস্য উৎঘাটন করা হয়েছে। হত্যাকাÐের সাথে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, নগরীর আড়ংঘাটা থানার কাত্তিকুল সরদার ডাঙ্গা এলাকার মোঃ হাফিজুর রহমানের ছেলে হাসমি নিখোঁজের তিনদিন পর খুলনা বাইপাস সড়কসংলগ্ন সরদার ডাঙ্গা খাল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় গত ৯ জুন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মোঃ হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ নুরুন্নবী, মোঃ রসুলকে আসামি করে আড়ংঘাটা থানায় মামালা দায়ে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।