মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিগত পরিচিতি মুছে ফেলতে নিয়মন্ত্রাতিক কৌশলের অংশ হিসেবে ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড (এনভিসি) প্রকল্প চালু করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার প্রকাশিত মানবাধিকার গ্রæপ ‘ফর্টিফাই রাইটস’-এর এক নতুন প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, বন্দুক ধরে রোহিঙ্গাদের বিদেশি পরিচয়পত্র নিতে বাধ্য করছে মিয়ানমার। বন্দুকের নলের মুখে রাখাইনের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ‘বিদেশি’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করে এক ধরনের পরিচয়পত্র নিতে বাধ্য করছে মিয়ানমার সরকার। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সেদেশের নাগরিক হওয়ার সুযোগ কেড়ে নেয়া হচ্ছে বলে মঙ্গলবার অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক একটি মানবাধিকার সংস্থা। মানবাধিকার সংগঠনটি জানায়, চলতি বছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) আদালত সংখ্যালঘু গ্রæপটির বিরুদ্ধে অপরাধের যে তদন্ত করছে তারই আওতায় পড়েছে এনভিসি প্রক্রিয়া এবং নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি। এক বিবৃতিতে ফর্টিফাই রাইটসের সিইও ম্যাথু স্মিথ বলেন, এমন এক প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা জনগণকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে যার মাধ্যমে এই জাতিগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকারগুলো কার্যকরভাবে কেড়ে নেয়া যাবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের মধ্যে এই প্রক্রিয়া এবং এর প্রভাব নিহিত। এই সমস্যার দিকে দৃষ্টি দেয়া না হলে সঙ্কট অব্যাহত থাকবে। ‘টুলস অব জেনোসাইড : ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড এন্ড দ্য ডিনাইয়াল অব সিটিজেনশিপ অব রোহিঙ্গা মুসলিমস ইন মিয়ানমার’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদন তৈরির জন্য গত কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের যেসব পরিচিতিস‚চক কাগজপত্র দেয়া হয়েছে সেগুলো পরীক্ষা করা হয়। এতে বলা হয়, ‘নাগরিকত্ব যাচাই’ প্রক্রিয়ার নামে ক্রমাগত রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকারগুলো সংকুচিত করে আনা হয়েছে। তাদের চলাচলের স্বাধীনতা সীমিত করা হয়েছে। তাদেরকে শিক্ষার সুযোগ, জীবিকা ও বাক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটসের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের আচরণের জন্য ইতোমধ্যে বৈশ্বিক নিন্দার মুখে পড়েছে মিয়ানমার। ন্যাশনাল ভ্যারিফিকেশন কার্ডস (এনভিসি) নামের পরিচয়পত্র রোহিঙ্গাদের জোরপ‚র্বক নিতে বাধ্য করার অভিযোগ সম্বলিত ফর্টিফাই রাইটস গ্রæপের এই প্রতিবেদন মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সেই আচরণ নিয়ে আরো উদ্বেগ বাড়াবে। ফর্টিফাই রাইটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথিউ স্মিথ বলেন, ‘কার্যকরভাবে মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নেয়ার একটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে মিয়ানমার সরকার।’ তবে বন্দুকের নলের মুখে বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র দেয়ার ব্যাপারে মন্তব্য পাওয়া যায়নি মিয়ানমারের। দেশটির সরকারের মুখপাত্র জ্য হতেইর সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স। নির্যাতন কিংবা বন্দুকের নলের মুখে রোহিঙ্গাদের এনভিসি নিতে বাধ্য করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল তুন তুন নি। তিনি বলেছেন, ‘এটা সত্য নয় এবং এ বিষয়ে আমার আর কিছুই বলার নেই। এসএএম, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।