পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি নেতাকর্মীরা ইঁদুরের মতো লুকিয়ে সভা-সমাবেশ করছে আর মুখে বড় বড় কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আজকে রোহিঙ্গারা সভা-সমাবেশ করেছে, কিন্তু আমরা সভা করতে পারছি না। আমরা ইঁদুরের মতো লুকিয়ে সভা করছি আর মুখে বড় বড় কথা বলছি। এটা বোকামির কাজ। রোহিঙ্গাদের দেখে আমাদেরও মাঠে নামা উচিৎ।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল - বিডিসি আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সংকট নিরসনের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা সবাই চাই রোহিঙ্গারা চলে যাক, কিন্তু গলা ধাক্কা দিয়ে নয়, অকারণ অপবাদ দিয়ে নয়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমাদের উচিৎ আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে কাজে লাগানো এবং আমাদের মুসলিম রাষ্ট্রের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা। অন্যদিকে চীনের উপরে সঙ্গবদ্ধভাবে চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
সংবিধানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ২৫ (ক) অনুচ্ছেদে এ লিখা রয়েছে যে কোনো দেশের যে কোনও জায়গার জাতিগোষ্ঠী আত্মঅধিকারের জন্য সংগ্রাম করলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো। এটা আমাদের নিজেদের স্বীকৃত বক্তব্য। আজকে রোহিঙ্গারা মুসলমান হোক বা যে জাতিই হোক তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে। কিন্তু এই জায়গায় ঐক্যের জন্য চীনকে বুঝিয়ে দেন, আমরা সবাই এক জায়গায় আছি, তোমরা যদি আমাদের সাথে না থাকো তোমাদেরও ক্ষতি হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা পররাষ্ট্রনীতিতে সবসময় ব্যর্থ হয়েছি। যখন ১২ লাখ রোহিঙ্গা আমার দেশে আসলো তখন আমরা মানবিক কারণে জায়গা দিয়েছি। এটা আমাদের কর্তব্য ছিলো। তখন খালেদা জিয়াও বলেছেন ‘জায়গা দেন’, আমরা সবাই বলেছি ‘জায়গা দেন’। এখন আমাদের পিছিয়ে গেলে চলবে না, আমরা অকারণে আমাদের সব দায়দায়িত্ব রোহিঙ্গাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছি। এটা বোকামি, এটা 'র' এর প্ররোচনা।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এমএ হালিমের সভাপতিত্বে এবং কৃষক দল নেতা এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তথ্য গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।