Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের মাছধরা নৌযানের বিরুদ্ধে যৌথ সামরিক টহল

১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের পর সাগরের নিরপেক্ষ নৌসীমা এই বাফার জোনে প্রথম সামরিক অভিযান

প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার পানিসীমান্ত সংলগ্ন নিরপেক্ষ নৌসীমা থেকে চীনের অবৈধ মাছ ধরা নৌযান বিতাড়িত করতে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে এ অভিযান শুরু করে জাতিসংঘ কমান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়া। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, তারা নিজ দেশের জেলেদের সবসময় আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি সম্মান দেখাতে বলেন। দুই কোরিয়ার মধ্যে অবস্থিত ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের অবসানের পর নির্ধারিত সাগরের নিরপেক্ষ নৌসীমা এই বাফার জোনে প্রথম সামরিক অভিযান চালানো হয়। এ নৌসীমায় চীনের এ ধরনের বহু সংখ্যক অবৈধ মাছ ধরা ট্রলারের ব্যাপারে সিউল বারবার বেইজিংয়ের কাছে অভিযোগ করে আসছে। হ্যান রিভারের মোহনার নিরপেক্ষ পানিসীমা এবং পীত সাগরের বিরোধপূর্ণ সাগর সীমান্তে টহল অভিযান না চালানোর ফলে চীনের এ ধরনের নৌযান দিয়ে সেখানে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, দিনের গোড়ার দিকে ওই মোহনা এলাকায় এই প্রথমবারের মতো সৈন্যরা তাদের সামরিক অভিযান চালায়। ওই কর্মকর্তা জানান, নিরপেক্ষ এ নৌসীমা ত্যাগ করতে চীনের মৎস্য শিকারিরা মৌখিক সতর্কবাণী না শুনলে এদের বিরুদ্ধে সেনা সদস্যদের শক্তি প্রয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এ অভিযান শুরুর আগে ইউএনসি, উত্তর কোরিয়া ও চীনকে এ সামরিক অভিযানের ব্যাপারে অবহিত করে। উল্লেখ্য, মার্কিন নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘ কমান্ড (ইউএনসি) কোরীয় যুদ্ধ অবসানের পর থেকেই এ অঞ্চলে অস্ত্রবিরতি পর্যবেক্ষণ করে আসছে। রয়টার্স, এবিসি নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীনের মাছধরা নৌযানের বিরুদ্ধে যৌথ সামরিক টহল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ