গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের ওপর আঘাতে অভিযোগে বিতর্কিত বক্তা গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন খারিজ আদেশ দেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত উপাদান নেই বিধায় মামলা খারিজ করা হয়। ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য মো. ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়ে গত রবিবার মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, ইসলামের নামে ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য দিতে গিয়ে তাহেরী বেশ কিছুদিন ধরে অনৈসলামিক কার্যকলাপে লিপ্ত। তিনি ওয়াজমাহফুলে নেচে-গেয়ে ওয়াজ করেন। ইসলাম ধর্মের পথ প্রদর্শক হজরত মুহম্মদ (সা.) এর আদর্শ ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে নাচ-গান সমর্থন করে না। ইসলামের রীতিনীতি অনুযায়ী মুফতি তাহেরীর কর্মকান্ড মুনাফেকির শামিল। ওয়াজের মধ্যে গান গাওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। এক ব্যক্তির উক্তি দিয়ে তার বিড়ি খাওয়ার দোয়াটিও ইসলামের কোথাও নেই। তার এসব বক্তব্যে ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করা হয়েছে।
‘বসেন বসেন বইসা যান, ঢেলে দিই’ এসব বাক্য ওয়াজে ব্যবহার করা হয়, যা সম্পূর্ণ অশ্লীল। ইসলাম ধর্মে এ রকম শব্দের উল্লেখ নেই। কিছু কিছু ইউটিউবারকে তিনি ধান্দাবাজ বলেও উল্লেখ করেন।
মামলায় বলা হয়েছে, আসামি তাহেরীর এসব কর্মকাণ্ড ইসলামে বিদ’আত বলে গণ্য। তিনি ইসলাম ধর্মেও অপপ্রচারকারী। ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজি যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায় তিনি ওয়াজের মধ্যে নাচ, গান করেন। ভক্তদের নিয়ে জিকিরের নামে নাচ-গান করেন, যা ধর্মীয় অনুভ’তি বা মূল্যবোধের ওপর আঘাত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।