Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিউইর্য়কে বিএমএমসিসি ইসলামিক স্কুল এর সামার সেশনের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন

নতুন প্রজন্মকে কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান অর্জনে আরো বেশী মনোনিবেশ করতে হবে -আবু আহমদ নুরুজ্জামান

যুক্তরাষ্ট্র সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:২২ এএম

নিউইর্য়কের ব্রুকলীনের বায়তুল মা'মুর মসজিদ এন্ড কমিউনিটি সেন্টারের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান "বিএমএমসিসি ইসলামিক স্কুল এর সামার প্রোগ্রাম"এর সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী গত ৩১শে আগস্ট শনিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। 

সকাল দশটায় সেন্টারের হল রুমে অনুষ্ঠিত উক্ত গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএমএমসিসি ইসলামিক স্কুলের প্রিন্সিপাল মাওলানা রশীদ আহমদ।ইসলামিক স্কুলের হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ আলী আকবর এর কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মমতাজুল করীম ও মাওলানা ফয়জুল্লাহ মাসুম এর যৌথ উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্ব পূর্ণ বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদ আবু আহমদ নুরুজ্জামান।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএমএমসিসির প্রেসিডেন্ট শিক্ষাবিদ আহমদ আবু উবায়দা।স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএমএমসিসি ইসলামিক স্কুলের হিফজ বিভাগের পরিচালক হাফেজ মোশাররাফ হোসাইন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএমএমসিসির সেক্রেটারী জেনারেল মোশাররাফুল মাওলা সুজন,পিআইসি কুরআন একাডেমীর পরিচালক ইমাম শরীফ ফয়জুল্লাহ। অভিভাবকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা হাবীবুর রহমান ও সিস্টার হিরা বেগম।শিক্ষক- শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও হাফেজা কারীমা হাশেম। স্কুলের শিক্ষক মাওলানা আমিনুর রহমান,মাওলানা আবদুল মন্নান,হাফেজ আমানত উল্লাহ, হাফেজ রাসেল আহমদ, নাজমুস সাকিব কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আবদুস সাত্তার, স্কুলের মহিলা শিক্ষকা আলেয়া বেগম সুমি, জেসমীন আক্তার,সুফিয়া খানম সুমি,সানজিদা তাইয়্যিবা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিএমএমসিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট আবুল ফজল ফয়সল,কুরআন একাডেমীর শিক্ষক শায়খ ইবরাহীম কামারা ও হিফজ বিভাগের প্রধান হাফেজ মাওলানা বুরহান উদ্দীন এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শতাধিক অভিভাবক সহ কমিউনিটির বিপুলসংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে ক্লাস ভিত্তিক বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রতিযোগীতাও অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠান সফলতার সাথে সামার সেশন শেষ করায় ক্লাস ভিত্তিক ১ম থেকে ১০ম গ্রেড পর্যন্ত এবং হিফজ শাখার দু'টি গ্রুপের মধ্যে প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ৩৬জন ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সনদও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিরা শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র ও স্কুল ব্যাগ তুলে দেন। এবারে ৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রী উক্ত সামার সেশনে অংশ গ্রহণ করেন।পাঠ দান করেছেন অভিজ্ঞ ১৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা।সহযোগিতায় ছিলেন ৫জন স্চ্ছোসেবক।

প্রধান অতিথি আবু আহমদ নুরুজ্জামান বলেন, প্রবাসে ইসলামকে বুঝা বা শেখার জন্য আমাদের সন্তানদের জন্য ইসলামিক স্কুলের বিকল্প নেই। একইসঙ্গে পারিবারিকভাবেও কোরআন ও হাদিসের বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হবে। সামার স্কুল থেকে শিক্ষা নেয়ার পর ইসলামের মৌলিক বিষয়ের চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের খাওয়ারের ব্যপারে হালাল হারাম শিখানো হয়েছে তা তাদের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। মা-বাবাদেরও হারাম হালালের জ্ঞান থাকতে হবে, সে অনুযায়ী বাচ্চাদের খাবার পরিবেশন হবে।তিনি আরো বলেন,নতুন প্রজন্মকে আরো বেশী বেশী কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান অর্জনে মনোনিবেশ করতে হবে।কেননা ঐ কুরআনিক জ্ঞানই পারে মানুষকে সঠিক ও সত্য পথের পথ দেখাতে।

বিশেষ অতিথি বিএমএমসিসির প্রেসিডেন্ট শিক্ষাবিদ আহমদ আবু উবায়দা উপস্থিত অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের সকলের আরো সহযোগিতা অব্যাহত বিএমএমসিসি একদিন নিউইয়র্কের নামকরা বিদ্যাপীঠে পরিণত হবে ইনশা আল্লাহ।তিনি বিএমএমসিসি ইসলামিক স্কুল ও কুরআন একাডেমী ফর ইয়াং স্কলার প্রতিষ্ঠান সমূহের কামিয়াবী কামনা করেন।

প্রিন্সিপাল রশীদ আহমদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রতি বছরই ভুর্তুকী দিয়ে ইসলামিক স্কুল পরিচালনা করতে হয়। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, যেন আগামী প্রজন্ম আমেরিকায় বসেও ইসলামের আলোকে জীবন গঠন করতে পারে।তিনি অভিবাকদের উদ্দেশ্য বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে নিয়ে আসা এবং ক্লাস শেষে সঠিক সময়ে বাসায় নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন এবং বাচ্চাদের হোমওয়ার্কে ঠিকমতো দেখভাল করা তাতে স্কুলের শৃংখলা রক্ষা হয় সাথে সাথে মানোন্নয়ন বৃদ্ধি পায়।
তিনি বলেন, আগামী ৭ই সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে স্কুলের অপর প্রোগ্রাম উইকেন্ড স্কুলের ক্লাস শুরু হচ্ছে। ইসলামের মৌলিক শিক্ষার জন্য উইকেন্ড স্কুলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

অভিভাবকরা তাদের বক্তৃতায় বলেন, আমাদের সন্তানদের শিশু বয়স থেকে ইসলাম শিক্ষা দেওয়া জরুরী। বাসার পাশে ইসলামিক স্কুল হওয়ায় আমাদের জন্য তা অনেক সহজ হয়েছে।সামার স্কুল নিয়ে তারা আরো বেশী প্রচারের উপর গুরুত্তারোপ করেন, যাতে করে সামার সেশনে মুসলিম কমিউনিটির সকল শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে সক্ষম হয়।অনুষ্ঠান শেষে স্কুল কতর্পক্ষের পক্ষ থেকে গ্র্যাজুয়েশনে আগত সবাইকে দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএমএমসিসি ইসলামিক স্কুল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ