বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের বালাগঞ্জ সদরে স্থানান্তরিত কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। পানি কমে যাওয়ার সাথে তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়েও উঠেছে। ইতিপূর্বে অযুখানা ও প্র¯্রাবখানার অনেকটা নদী গর্ভে চলে গেছে। ইমাম মুয়াজ্জিনের থাকার রুমসহ অবশিষ্ট প্র¯্রাবখানায় মারাত্বক ফাটল দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে দ্রত ব্যবস্থা নেয়া না হলে মসজিদটি যে কোন সময় তা নদী গর্ভে বিলীত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।
জানা যায়, কুশিয়ারা নদীর প্রায় জায়গা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। উজান থেকে আশা পাহাড়ী ঢলের পানি সংকুলান না হওয়াতে তীব্র ¯্রােতের সৃষ্টি হয় এবং নদীর পানির গতিপথও পরিবর্তন হয়। যার ফলে প্রতিবছর ভাঙন দেখা দেয়। শুধু মসজিদ নয়, ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে পুরাতন থানাসহ বাজারে অসংখ্য দোকানপাট। মসজিদ কমিটিসহ এলাকাবাসী ভাঙন রোধে দ্রæত নদী খনন ও প্রতিরক্ষা স্থায়ীভাবে নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত বালাগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ কুশিয়ারা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর স্থানান্তর করা হয় বর্তমান বালাগঞ্জ সদর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। ইতোমধ্যে ভাঙনের কবলে পড়েছে স্থানান্তরিত বর্তমান মসজিদটিও। ১৮৮২ সালের কুশিয়ারা নদীর তীরে উপজেলা সদরে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজনগর উপজেলার ঘড়গাও গ্রামের মরহুম আলীম উদ্দিন। নদী পথে আরবসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বণিকরা এই মসজিদে নামাজ আদায় করতেন। মসজিদটি প্রতিষ্ঠার কয়েক বছরের মধ্যেই উত্তাল কুশিয়ারা নদীর করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে বর্তমান ভূমিতে স্থানান্তরিত করা হয় এই মসজিদ। সে সময় মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন মরহুম আফতাব উদ্দিন চেয়ারম্যান।
মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী আব্দুল মতিন বলেন, নদীর ভাঙনরোধে যদি কোন ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত পুরাতন মসজিদের মত এই ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদও রক্ষা করা যাবে না।
এব্যাপারে বালাগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. জুনেদ মিয়া বলেন, মসজিদ রক্ষা ও ভাঙনরোধে দ্রæত ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিম জানান, বালাগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড এব্যাপারে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি। এব্যাপারে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা ভাঙরোধে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। ঢাকা থেকে একটি কমিটি আসবে এবং নদীর ভাঙন স্থানগুলো পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে। এরপর সে অনুযায়ী কাজ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।