পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নারী নির্যাতন ভয়াবহ পর্যায়ে এসেছে, যা উদ্বেগের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। তিনি আরো বলেন, এর থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার যারা হন, তাদের পরিবর্তে নির্যাতনকারীরা আইনের আশ্রয় পান। তবে সঠিক বিচার হলে অবশ্যই নারী নির্যাতন কমে আসত।
আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘ইউসিবি পার্লামেন্ট’ শিরোনামে ‘নুসরাত হত্যার সঠিক বিচার নারীর প্রতি সহিংসতা কমিয়ে আনবে’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতানা কামাল বলেন, প্রতিটি হত্যার বিচার হতে হবে মূল্যবোধের ভিত্তিতে। তা নাহলে রাজনীতি, পারিবারিক শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রশ্ন চলে আসবে। অনেক সময় স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়া মানে নির্যাতন বলা হয়। কিন্তু প্রকৃত বিষয় হলো- আমার অসম্মতিতে আমার হাতটিও যদি কেউ স্পর্শ করে, সেটাও নির্যাতন। এক জেলা প্রশাসকের (ডিসি) ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এটাতে যেই দোষী হোক, তার বিচার হতে হবে। আবার যারা ভিডিও ভাইরাল করলো, তারাও কী সঠিক কাজ করেছেন?
তিনি বলেন, সমাজের প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। নিরব থাকলে নির্যাতন আরও বাড়বে। আমাদের মনে রাখতে হবে- প্রতিবাদহীন সমাজ কখনও সামনে এগোতে পারেনা। প্রতিটি নাগরিককে দায়িত্বশীল হতে হবে, এটা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। আমরা দায়িত্বশীল হলে দেশের রাজনীতিবিদরাও দায়িত্বশীল হতে বাধ্য।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মাসের মধ্যেই আলোচিত নুসরাত হত্যাকাণ্ডের রায় হবে। এ মামলার বিচার শুরু হওয়ার পর প্রায় প্রত্যেক কর্মদিবসেই বিরতিহীনভাবে শুনানি হচ্ছে।
হাসান আহমেদ চৌধুরী আরও বলেন, বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, মামলার চার্জশিটভুক্ত ১৬ আসামির প্রত্যেকেই নুসরাত হত্যায় কোনো না কোনোভাবে জড়িত এবং আদালত তা প্রমাণ করতে সমর্থও হয়েছেন। বিচারপ্রক্রিয়ার ধারাবাহিক কার্যক্রম দেখে বোঝা যাচ্ছে, আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে।
আয়োজিত এ বিতর্ক প্রতিযেগিতায় সরকারি মাদ্রাসা-ই আলিয়া ও লালমাটিয়া মহিলা কলেজ অংশ নেয়। বিতর্ক শেষে লালমাটিয়া মহিলা কলেজকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।