পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জেলখানাগুলোর ধারণ ক্ষমতার তিন-চারগুণ বেশি মানুষ জেলখানায়। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বিনা বিচারে বন্দি। গতকাল রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জে ‘মানবাধিকার, সংবিধান ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল।
সুলতানা কামাল বলেন, বন্দিদের মধ্যে অনেক দোষী, অপরাধী কিংবা দুর্ধষ অপরাধী থাকলেও তাদের কোনো বিচার হয়নি। তবে বন্দিদের মধ্যে একটি বড় অংশ কোনো ধরনের অপরাধ না করেই জেলখানায় বন্দি হয়ে আছেন। আমাদের সংবিধানে বলা আছে, কাউকে বিনা বিচারে আটক রাখা যাবে না। অথচ আমাদের দেশের জেলখানাগুলোতে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বিনা বিচারে আটক রয়েছেন। তাদের কোনো বিচার হয়নি।
তিনি বলেন, আমাদের জেলখানাগুলোতে ধারণ ক্ষমতার তিন-চারগুণ বেশি মানুষ বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ দোষী থাকতে পারে, অপরাধী থাকতে পারে ও দুর্ধষ অপরাধী থাকতে পারে। কিন্তু কারও বিচার হয়নি।
আমরা বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড প্রত্যক্ষ করছি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা প্রায়ই দেখছি মানুষের লাশ বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ঘটনা ঘটছে সেগুলোর কোনো সুরাহা হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে অনেক হত্যাকান্ডের বিচার হচ্ছে না। সংবিধানে বলা আছে, আমাদের বাক স্বাধীনতা কেউ হরণ করতে পারবে না। কিন্তু অনেক আইন তৈরি হচ্ছে। সর্বশেষ যেটা এসেছে সেটা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। এই আইন দিয়ে কিন্তু আমাদের বাক-স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। দেশ এমন অবস্থায় পৌঁছে গেছে মানুষ এখন আর ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করে না।
সুলতানা কামাল আরও বলেন, দেশের বাস্তব পরিস্থিতিতে নানা কারণে মানুষের প্রতি নানা বৈষম্য রয়ে গেছে। এই বৈষম্য এটা অসাংবিধানিক। এই বৈষম্য দূর করতে বৈষম্য বিলোপ আইন তৈরির করা হলেও সেটি আইন প্রণয়ের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারা পাশ করেননি। নানা বৈষম্য তৈরি হওয়ার কারণে কোটা পদ্ধতি তৈরি হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা, নারী যারা কোনো কারণে পিছিয়ে পড়েছিল তাদেরকে সামনে নিয়ে আসার জন্যই কোটা পদ্ধতি চালু হয়েছিল। সমান সুযোগ সবাইকে দিতে হলে কিছুটা কোটা পদ্ধতি না হলে সম্ভব হবে না। তাই পুরোপুরি কোটা পদ্ধতি বাতিল করে দেয়াটাকে সমর্থন করা যায় না। রণদা প্রসাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মনীন্দ্র কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজীব প্রসাদ সাহা, উপদেষ্টা সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।