পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউজিসির প্রস্তাবিত ওই নীতিমালার কঠোর সমালোচনা করেন তারা।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। এসময় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এ সালাম, বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইয়াহিয়া খন্দকারসহ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলননে বক্তারা বলেন, ইউজিসি শিক্ষার মান উন্নয়ন, গবেষণা ও শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা না বাড়িয়ে উল্টো উচ্চশিক্ষাকে গলাটিপে হত্যার ব্যবস্থা করছে। প্রস্তাবিত নীতিমালায় পিএইচডি ইনক্রিমেন্ট, সেশন বেনিফিটসহ বিদ্যমান সুযোগ সুবিধাগুলো কেড়ে নিচ্ছে।
ওই নীতিমালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অধ্যাপক বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ ধাপে যাওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি। এমএস ও পিএইডির জন্য শিক্ষাছুটি কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে। অধ্যাপকদের গ্রেড ১ এ যাওয়ার হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। কৃষিতে দেশকে সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের ভূমিকা রাখা কৃষি বিশ্ববিদ্যালগুলোর জন্য আলাদা ও জটিল শর্ত আরোপ করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত কৃষি শিক্ষা, প্রযুক্তি ও কৃষি উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করবে। ওই নীতিমালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও অপমান করা হয়েছে। এসময় অভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।
বক্তারা আরোও বলেন, শিক্ষক নিয়োগে এবং পদোন্নতিতে ইউজিসির প্রস্তাবিত অভিন্ন নীতিমালায় কৃষি ও কৃষি প্রধান বিশ্ববিদ্যালগুলোর সাথে অন্যান্য বিশ^বিদ্যালয়ের ব্যাপক অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয়েছে।
আমাদের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ইউজিসি ওই নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। ইউজিসি চাইলে ওই নীতিমালা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সুপারিশ করতে পারে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট ও সিনেট রয়েছে নীতি নির্ধারণের জন্য, প্রয়োজনে তারা সিদ্ধান্ত নিবে কিভাবে নিয়োগ ও পদোন্নয়ন আরও যুগোপযুগী করা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।