চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
পুস্তক : কে এই মহান তাপস হযরত শাহ্ আবদুস্ সোবহান আল ক্বাদেরী (রাহঃ)
প্রকাশক : আলহাজ্ব শাহজাদা মাহ্বুব ইলাহ্ আল-ক্বাদেরী
শাহপুর দরবার শরীফ,কুমিল্লা
প্রাপ্তিস্থান : আরেফে রাব্বানী শহ্ আবদুস্ সোবহান রিসার্চ সোসাইটি
২৭৩,কাটাবিল,কুমিল্লা -৩৫০০।
মোঃ গাউস পেয়ারা খান,২১৬/২-এ, তেজকুনিপাড়া,তেজগাও, ঢাকা-১২১৫।
ফোনঃ ০১৭১৮- ৩৭২৬২৬ ,০১৬১২-০৮৬৭৬৮
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন , “ইন্নি জায়েলুন ফিল আরদে খলিফা ”অর্থ- নিশ্চয়ই পৃথিবীতে আমি আমার প্রতিনিধি প্রেরন করব। আল্লাহ তায়লার এমনি একজন দ্বীনের প্রতিনিধি কুমিল্লার ওলিকুলের উজ্জ্বল নক্ষত্র গাউসে জামান,মোজাদ্দেদে জামান, শায়খ-উল- র্ক্বোরা,হযরত শাহ্ সুফি আবদুস্ সোবহান আল-ক্বাদেরী (রাহঃ)। হজরতের নামের শেষে ‘আল-ক্বাদেরী’ খেতাবটিই প্রমাণ করে যে তিনি বড় পীর হজরত শেখ সাইয়্যেদ মুহীউদ্দীন আবদুল কাদের জিলানী (রাহঃ)এঁর একনিষ্ট অনুসারী। কিন্তু তিনি যে হজরত বড় পীর (রাহঃ) এঁর একজন বুজুর্গ আওলাদ তা অনেকেরই জানা নেই। ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে হজরত বড় পীর (রাহঃ) এঁর শাহ্জাদাগনের বংশধরগণের মধ্যে চার নাতি বহু পথপক্রিমা অতিক্রম করে ইরান থেকে বঙ্গদেশে এসেছেন। তাঁরা হলেন , হজরত শাহ্ মখদুম রূপোস (রাহঃ) রাজশাহী, হজরত সাইয়্যেদ মিরণ শাহ্ (রাহঃ) কাঞ্চনপুর, নোয়াখালী, হজরত সাইয়্যেদ শাহ্ মুরাদ (রাহঃ) ছালিয়াকান্দি, কুমিল্লা এবং হজরত সাইয়্যেদ বাহাউদ্দীন বাকের (রাহঃ) চরবাকের, কুমিল্লা। একদা গোমতী নদীর তীরবর্তী এলাকাটি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছিল এমন সময় হজরত সাইয়্যেদ বাহাউদ্দীন বাকের (রাহঃ) এ অঞ্চলে আগমণ করলে এলাকাটি ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পায়। ফলে জায়গাটি হযরতের নামানুসারে ‘চরবাকের’ নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। হজরত বড় পীর (রাহঃ) এঁর বংশধর হজরত সাইয়্যৈদ বাহাউদ্দীন বাকের (রাহঃ) বংশে জন্ম গ্রহণ করেন কুমিল্লার জ্যোতিরময় সুফি সাধক গাউছে জামান হযরত শাহ সুফি ক্বারী গাজী মাওলানা আবদুস্ সোবহান আল-ক্বাদেরী (রাহঃ)।
তিনি একাধারে দীর্ঘ দশ বছর মক্কা শরীফ, মদিনা শরীফ, ইয়েমেন, শ্যাম, সিরিয়া, বায়তুল মোকাদ্দাস, তুরস্ক সহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেন। মুসলিম বিশ্বে অবস্থান কালে তিনি ইরাকের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ‘মুসল শরীফ’ হতে আরবীতে ৩ বছর অধ্যয়ন করে ‘শায়খ উল র্কোরা ’ ডিগ্রী লাভ করেন। হযরত শাহ্ আবদুস্ সোবহান আল-ক্বাদেরী (রাহঃ) বাংলাভাষাভাষী হয়েও অনান্য চারটি ভাষার উপর বুৎপত্তি হাসিল করেন। তিনি একাধারে বাংলা,আরবী ও উর্দু ভাষায় অসংখ্য ক্বাসিদা রচনা করেছেন। হযরতের কঠিন সাধনা ছিল তিনি মাত্র ৭ টি লবঙ্গ (লং) দিয়ে ৪০ দিনের চিল্লাহ করা। কে এই মহান তাপস হযরত শাহ্ আবদুস্ সোবহান আল-ক্বাদেরী (রাহঃ) গ্রন্থটিতে লেখক মোহাম্মদ রুহুল আমিন সাবের সোবহানী আলক্বাদেরী গ্রন্থটিতে হযরতের বংশ পরিচয় , বাল্য ও শিক্ষা জীবন, কঠোর রিয়াজত ও সাধনা, আল্লাহ্ প্রদত্ত অলৌকিক ক্ষমতা সমূহ, চিল্লাহ সমূহের রিয়াজত, সামাজিক কর্মকান্ড এবং তাঁর কতিপয় রচনাবলী আত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীল ভাবে তুলে ধরেছেন। গ্রন্থটি আধ্যয়ন করলে পাঠকগন হজরত বড় পীর (রাহঃ) এঁর বংশধর একজন মহান আউলিয়া সম্পর্কে এবং ক্বাদেরীয়া ত্বরিকার দর্শন জানতে পারবেন। প্রতি বছর সম্পূর্ন ইসলামী শরীয়তের পূর্ণাঙ্গ বিধান মোতাবেক বাংলা ফালগুন মাসের নির্দিষ্ট তারিখে বাদে আছর থেকে সারা রাতব্যাপী কোরআন খতম, জিকির-আজকার,মিলাদ-মাহফিল,সালাতুস সালাম,ফজরবাদ ওজিফা ও আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে হযরত সুফি শাহ্ আবদুস্ সোবহান আল-ক্বাদেরী (রাহঃ) ওরস মোবারক কুমিল্লার শাহপুর দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হয়। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন,“আল্ আউলিয়া রায়হানুল্লাহ” অর্থাৎ- আউলিয়াগণ আল্লাহর সুবাস। আল্লাহতায়ালা এ মহান আউলিয়ার সুবাস দ্বারা আমাদের হৃদয়কে সুবাসিত করুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।