পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
টানা পঞ্চম বারের মত বিকেএমই সভাপতি হতে বিশাল নির্বাচনী ছক কষেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সংগঠনটির বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে। জানা গেছে, টানা ৪ টি মেয়াদের মধ্যে প্রথম দুই মেয়াদে নির্বাচনে সেলিম ওসমান সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু পরের দুটি মেয়াদে বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় সভাপতি হন তিনি। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ তথা বাংলাদেশে বিকেএমই-এ সদস্যভুক্ত শীর্ষ ব্যবসায়িদের মধ্যে রয়েছে চরম ক্ষোভ। অভিযোগ রয়েছে গত ৪ টি মেয়াদে সেলিম ওসমান রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিকেএমই-এ সংগঠনটিকে নিজের কব্জায় রেখেছেন। এবার ২০১৯-২০২১ মেয়াদে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে অনেকটা চুপিসারে। বিস্ময়ের বিষয় এবারের নির্বাচনে ভোট গ্রহনের স্থান হিসাবে বেছে নেয়া হয়েছে বিতর্কিত মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা শাহ নিজামের নমপার্ক অর্থাৎ নাসিম ওসমান মেমেরিয়াল পার্কে। ব্যবসায়ীরা ধারনা করছেন ভোট ডাকাতি করতেই নিজের ভাইয়ের নামের এই পার্কে তিনি ভেন্যু করেছেন। অথচ অতীতে বিকেএমই-এ নির্বাচনী হতো নারায়ণগঞ্জের সর্বজন স্বীকৃত ঐতিহ্যবাহি নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের অডিটোরিয়মামে। যদিও নির্বাচনের বিষয়ে সেলিম ওসমান ইনকিলাবকে বলেন, অক্টোবরে নির্বাচন। আমি নির্বাচন করতে চাইনা। আমাকে সবাই চায় এ জন্য নির্বাচন করি। এবারে নির্বাচন করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো ঠিক করিনি। তবে সবাই চাইলে নির্বাচন করবো। সংশ্লিষ্টরা জানান, নম পার্কের যিনি মালিক তিনি নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় এই সংসদ সদস্যের প্রধান সেনাপতি। এই শাহ নিজামের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানা পুুলিশের সাবেক ওসি মঞ্জুর কাদের সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। শাহ নিজামের আস্থাভাজন ক্যাডার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি মোফাজ্জল হোসেন চুন্নুকে আটক করে পুলিশ। গত ২১ শে এপ্রিল ৫০০ পিস ইয়াবাসাহ চুন্না আটক হয়। এর আগে চুন্নুর ফেনসিডিল ভর্তি ট্রাক আটক করেছিল পুলিশ। এছাড়া শাহ নিজাম ওসমান পরিবারের রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ। তাই নির্বাচনী বোর্ড ও আপিল বোর্ডে সেলিম ওসমান নিজের লোক রাখার পাশাপাশি ভোট গ্রহণের স্থানটিও বেছে নিয়েছেন নিজের আস্থাভাজন লোকের স্থানে। ব্যবসায়িদের অভিযোগ, বিকেএমই-এর মত একটি সাজানো-গোছানো সংগঠন এখন সেলিম ওসমানের প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীতে পরিণত হয়েছে। কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে বিকেএমই-এ তে নানা অনিয়ম করে যাচ্ছেন সেলিম ওসমান। বিকেএমই’র নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচনী বোর্ড নিয়েও অশন্তোষ দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে রয়েছেন বর্তমান সংগঠনের সভাপতি সেলিম ওসমানের অত্যন্ত আস্থাভাজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত সাবেক এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী। সদস্য হিসেবে আছেন সেলিম ওসমানের ব্যবসায়িক দুই সেনাপতি ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়শনের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান ও প্রবীর কুমার সাহা। প্রতি বারই এদের মাধ্যমেই নির্বাচনী বৈতরণীয় পার হওয়ার রোডম্যাপ করে থাকেন। এমনকি আপিল বোর্ডে নিয়োগ পেয়েছে সেলিম ওসমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন মাসুদুর রউফ, রাশেদ সারোয়ার ও মাহফুজুর রহমান খান।
ইতোমধ্যে এবারের নির্বাচনে সেলিম ওসমানকে বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে দেবে না বলে ব্যবাসয়িক একটি বিশাল একটি অংশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিশাল একটি ব্যবসায়ি দল সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্যানেল দেবে বলে সভা করেছে।। মূলত এই খবরেই পদ হারানো আতঙ্কে সেলিম ওসমান শাহ নিজামের নম পার্ক স্থানটি ভোট গ্রহনের স্থান হিসাবে বেছে নিয়েছেন। যেন তিনি পেশী শক্তি খাটিয়ে হলেও সভাপতি পদটি বাগিয়ে নিতে পারেন। ভেন্যুর বিষয়ে বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান ইনকিলাবকে বলেন, আমি নিজেও এখনো ভেন্যু সম্পর্কে জানিনা। এটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের কাজ। কারো আপত্তি থাকলে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করতে পারে। ভেন্যু নিয়ে বিতর্ক তোলার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।