পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভিডিও কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রমাণিত হলে জামালপুরের ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরকে সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী চাকরিচ্যুত বা নিচের পদে নামিয়ে দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) মন্ত্রিসভায় নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৮১ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অতীতে এমন অভিযোগ হলেও শাস্তি হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শাস্তি হবে ইনশাল্লাহ। ওটা মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়নি। তদন্তে প্রমাণিত না হলে শাস্তি দেয়া কঠিন। আমরা কমিটি করে দিয়েছি। কমিটি দেখবে। কমিটি নিরপেক্ষভাবে দেখবে এবং টেকনিক্যালি এটার মধ্যে যদি কোনো ম্যাসুপুলেশন থাকে, সেটাও যাচাই করবে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট দিয়ে। এ জন্য এক্সপার্ট রাখা হয়েছে। যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে আইনানুগভাবে শাস্তি হবে।
ডিসি অফিসের এক নারীকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে ডিসি আহমেদ কবীরকে ওএসডি করা হয়। অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ওএসডি ডিসির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পাবলিক সার্ভেন্টদের জন্য ডিসিপ্লিন আপিল রুল যেটা, এটা বলে যে, তার ডিসমিস্যাল হতে পারে চাকরি থেকে, রিমুভাল হতে পারে অথবা নিচের পদে নামিয়ে দেয়া হতে পারে। মানে গুরুদন্ড হতে পারে। ডিসির বিষয়ে তদন্ত কমিটিকে শুধু ভিডিও’র বিষয়ে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে অন্যান্য অনিয়মের তদন্ত হবে কি-না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এগুলো তদন্তে বেরিয়ে আসতে পারে। এ কমিটি আমলে নিতে পারবে।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে। অতীতে সেভাবে কাউকে শাস্তি পেতেও দেখা যায়নি। জামালপুরের ডিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি, শাস্তি হবে ইনশাআল্লাহ। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়নি।
তিনি বলেন, যদি তদন্তে (অভিযোগ) প্রমাণিত না হয় তবে কাউকে শাস্তি দেয়া কঠিন। আমরা এজন্য কমিটি করেছি। কমিটি দেখবে এটা। অবজেক্টটিভলি দেখবে, নিরপেক্ষভাবে দেখবে। টেকনিক্যালি এটার মধ্যে যদি কোনো ম্যানুপুলেশন থাকে তারা সেটাও যাচাই করবে এক্সপার্ট দিয়ে। সেজন্য এক্সপার্টও সঙ্গে রাখা হয়েছে। যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কার্যপরিধির বাইরেও যদি কোনো ইনফরমেশন চলে আসে তবে গঠিত তদন্ত কমিটি বলতে পারে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগও আছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত কমিটির তদন্তে ভিত্তিতে আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ৭টি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ৭২টি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে ৫৯টি। ১৩টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৮১ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর এটাই প্রথম দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল থেকে জুন) মন্ত্রিসভায় নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার নিয়ে প্রতিবেদন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে একটি নীতি বা কর্মকৌশল ও একটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদিত হয়েছে। এ সময়ে সংসদে আইন পাস হয়েছে ছয়টি।
ডিসির নারী কেলেংকারি : কর্মস্থলে সাংবাদিক দেখে অজ্ঞান সানজিদা
জামালপুর জেলা সংবাদদাতা : ডিসির যৌন কেলেঙ্কারির সেই আলোচিত নারী অফিস সহকারী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা গতকাল সোমবার কর্মস্থলে যোগদান করতে এসে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান। তার অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হলে কয়েক মিনিট পর তিনি উঠে বসেন।
বোরখায় মুখ ঢেকে সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি ডিসি অফিসে তার কর্মস্থলে যোগদান করতে আসেন। এসময় ডিসি অফিসে সাংবাদিকদের দেখে তিনি এই অজ্ঞান হওয়ার নাটক করেছেন বলে ডিসি অফিসের অনেকেই জানান। পরে তিনি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসক বরাবর অসুস্থতার কারণ জানিয়ে ৩ দিনের ছুটির আবেদন করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজিব কুমার সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, কর্মস্থলে যোগদান করতে এসেছিলেন। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে চলে গেছেন। ৩ দিনের ছুটির আবেদন করেছেন। এখনো ছুটি মঞ্জুর করা হয়নি। সাধনা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভিডিওটি কারা করেছে আমি জানি না। আমি নির্দোষ। আমার ১০ বছরের একটি ছেলে আছে, তার দিকে চেয়ে আমাকে ক্ষমা করে দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।