Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীমিত পরিসরে খোলা সচিবালয়

লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে ডিসি-ইউএনওরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৬ এএম

প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয় মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য সরকারি কার্যক্রম সুসমন্বয়ের লক্ষ্যে নির্দেশনা অনুযায়ী সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়া সারা দেশের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসগুলো সীমিত পরিসরে ও খোলা রয়েছে বলে জানা গেছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য সরকারি কার্যক্রম সুসমন্বয়ের লক্ষ্যে সরকারের সিনিয়র সচিব, সচিব এবং সচিব পদমর্যাদার ৬৪ সচিবকে দেশের ৬৪ জেলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জোনা গেছে, জরুরি সেবা দেওয়া বিভাগগুলো কেবল খোলা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের তথ্য অধিদফতর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অফিস করেছেন। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে সরকারের নেওয়া কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন পার হয়েছে। অনেক জেলার ডিসিরা ও ইউএনওরা লকডাউন বাস্তবায়ানের কাজ করছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ বিভাগ খোলা রয়েছে। সেখানে কর্মকর্তারা আলাদা রোস্টার তৈরি করে এখন ডিউটি করছেন। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে তথ্য অধিদফতর। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার ইনকিলাবকে বলেন, তথ্য অধিদফতরের একটা বড় অংশ সংবাদ নিয়ে কাজ করে। তাই ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হয়। তারা এই করোনার কারণে আলাদা রোস্টার তৈরি করে দিয়েছেন। সে অনুযায়ী কর্মকর্তারা নিউজরুমে ডিউটি করছেন। এছাড়াও সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ডিউটি করছেন। ডিউটিতে স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকের চিকিৎসক ও কর্মীরা। এছাড়াও সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক অংশ। খোলা আছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি ইউনিট। রমজানে নানা সমস্যা সমাধান অভিযোগ গ্রহণ এবং সেবা দিতে রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত সেল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৮ দফা নির্দেশনার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করা হয়। সংক্রমণ বাড়তি থাকলে গত বুধবার থেকে সব ধরনের চলাচল সীমিত করে প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, সরকারের দ্বিতীয় দফা এই কঠোর লকডাউনের সময় প্রথমবারের মতো করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে সমন্বয় এবং সরকারি ত্রাণ তৎপরতা, স্বাস্থ্যসেবাসহ সবকিছু মোকাবিলায় এই ঘোরতর সঙ্কটে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের একেকটি জেলার সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব ও সচিবরা দায়িতপ্রাপ্ত জেলায় করোনা মোকাবিলায় সবকিছু মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত জারিকৃত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব/সচিবরা সমন্বয় কাজে তার মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ দফতর সংস্থার উপযুক্ত সংখ্যক কর্মকর্তাকে সম্পৃক্ত করতে পারবেন। এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণমাধ্যম, ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয়সাধন করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার কাজ (সচিবরা) তত্ত¡াবধান ও পরিবীক্ষণ করবেন।
আদেশে বলা হয়, তারা (সিনিয়র সচিব/সচিব) জেলা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিবীক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করবেন। সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত সমস্যা/ চ্যালেঞ্জ বা অন্য বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/দফতর/সংস্থাকে লিখিত আকারে জানাবেন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে নিয়মিত অবহিত করবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, অবসর বা বদলির কারণে সিনিয়র সচিব/ সচিবের দফতর পরিবর্তন বা পদশূন্য হলে সেখানে নিযুক্ত সিনিয়র সচিব/সচিব দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাঈদুল ইসলাম প্রধান ইনকিলাবকে বলেন, জরুরি সেবা দেওয়া স্বাস্থ্য বিভাগগুলো কেবল খোলা রাখা হয়েছে। মন্ত্রী ও সচিব সব সময় মনিটরিং করছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন নওগাঁর জেলার জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশীদ। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাঠে ডিসি-ইউএনওরা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ