নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন

‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই লড়াই করে আফগানিস্তান, টি-টোয়েন্টিতে তো আফগানদের সঙ্গে পেরেই উঠে না। কিন্তু খেলা যখন টেস্ট তখন হিসেবও ভিন্ন। অভিজ্ঞতায়, স্কিল সব বিচারে তাই সাদা পোশাকে আফগানদের চেয়ে নিজেদের অনেক এগিয়ে রাখছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ। কন্ডিশনিং ক্যাম্পে বিশাল বহর নিয়ে চলছে ফিটনেস আর স্কিলের ঝালাই। গতকালও অনুশীলনে ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুককে নিয়ে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো চালান নিবিড় ফিল্ডিং অনুশীলন। ক্যাচিং অনুশীলনের বড় একটা সময় জুড়ে ছিল ক্লিপ ফিল্ডিং। পরে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসরা ব্যাট হাতে নেমেছেন নেটে। আঙুলে চোট পাওয়া এদিন এসব অনুশীলন থেকে দূরে ছিলেন মিরাজ। বিশ্রামে থাকা মিরাজ দলের অনুশীলন দেখতে দেখতে নিজেদের শক্তির তারিফ করলেন জোর গলায়, ‘আসলে প্রতিটি ম্যাচই চ্যালেঞ্জের। ছোট আর বড় না। কারণ যারাই ভাল খেলবে তারাই কিন্তু জিতবে। কিন্তু তারপরেও আমরাও ওদের থেকে অনেক এগিয়ে আছি; অভিজ্ঞতার দিক থেকে পাশাপাশি শেষ যে টেস্টটায় আমরা পারফর্ম করেছি এবং হোম কন্ডিশনে। সব মিলিয়ে ওদের থেকে অনেক দিক থেকেই এগিয়ে আছি।’
বাংলাদেশের সা¤প্রতিক সময়ে টেস্টে যা সাফল্য, সবই এসেছে স্পিনের বিষমাখা উইকেট বানিয়ে। কিন্তু আফগানদের বিপক্ষে চোখ বুজে স্পিনের বধ্যভূমি বানানোর সাহস কি দেখাতে পারবে বাংলাদেশ? এই সময়ে বিশ্বের সেরা স্পিনারটি যে আফগানিস্তান দলেই। শুধু কি স্পিন? পুরো বোলিং ইউনিট হিসেবে বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানের মধ্যে কারা এগিয়ে- এ নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু মিরাজের মনে কোনো সন্দেহ নেই, বোলিং আক্রমণে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশই। মিরাজ বলেছেন, ‘আমাদের বোলারদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। বিশেষ করে আমাদের দলে সাকিব ভাইয়ের মতো বোলার আছেন। যিনি প্রায় ১৩-১৪ বছর ক্রিকেট খেলে ফেলেছেন। খেলোয়াড় হিসেবেও সফল। বিশ্বসেরা বোলিং, ব্যাটিং নিয়েই তিনি অলরাউন্ডার।’
এক সাকিবই পার্থক্য গড়ে দেয়, এ আর নতুন কী। তবে শুধু সাকিবের বলে নয়, মিরাজ নিজেদের সামগ্রিকভাবেই অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ ভাবছেন, ‘তাইজুল ভাইয়ের আর একটা উইকেট পেলে টেস্টে ১০০ উইকেট হবে। আমার অভিজ্ঞতাও ৩-৪ বছরের হয়ে গেল। ওদের থেকে আমার টেস্ট ক্রিকেটের অভিজ্ঞতায় অনেক ভালো।’ টেস্টে অভিজ্ঞতা কেন বেশি জরুরি, সেটিও বললেন মিরাজ, ‘ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চাইতে টেস্ট ক্রিকেট একেবারেই আলাদা একটা ফরম্যাট। ওদের স্পিনাররা যেটা করে, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে রান বাঁচাতে ওরা বিভিন্ন জায়গা বল করে থাকে। এটার জন্য ব্যাটসম্যান রান তুলতে বাড়তি আক্রমণাত্মক হয়, টেস্ট ক্রিকেটে কিন্তু ওই রকম কিছু নেই যে জোর করে মারা বা চার্জ করে খেলা। যতক্ষণ ভালো করবে ততক্ষণ ব্যাটসম্যান টিকে থাকবে। একটা ডেলিভারি খারাপ করলে ওটাই মারবে। এ কারণে ধৈর্য নিয়ে বল করতে পারাটাই এখানে বোলারদের আসল মেজাজের পরীক্ষা।’
আফগানিস্তান টেস্ট খেলেছেই মাত্র দুটি। ২ টেস্টে ৯ উইকেট রশিদ খানের। ইয়ামিন আহমেদজাইয়েরও উইকেট ৯টি। এমন আহামরি কিছু নয়। ক্রিকেটের দৈর্ঘ্য যত বড় হয়, আফগানদের সম্ভাবনাও তেমন কমে আসে। মিরাজ আত্মবিশ্বাসী, ‘ওরা কতটুকু করবে বা কতটুকু প্রস্তুতি নিয়ে আসবে সেটা ওরাই ভালো জানে। তবে আমি মনে করি ওদের থেকে টেস্ট ক্রিকেটে আমরা অনেক এগিয়ে আছি। আমরা শতভাগ দিতে পারলে ফলাফল আমাদের দিকেই আসবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।