পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরকে প্রত্যাহার করে নতুন ডিসি হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) মোহাম্মদ এনামুল হককে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা ও খাগড়াছড়ি জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে। এদিকে জামালপুরের ডিসির ভিডিও কেলেঙ্কারির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির প্রধান করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক অতিরিক্ত সচিবকে।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ কবীরের ভিডিও কেলেঙ্কারির বিষয়টি অনাকাক্সিক্ষত এবং অপ্রত্যাশিত। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রাথমিক তদন্ত করে ওএসডি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। গতকাল রোববার তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এক নারী অফিস সহকারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। এদিকে চুয়াডাঙ্গার বর্তমান ডিসি গোপাল চন্দ্র দাসকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব এবং খাগড়াছড়ির বর্তমান ডিসি মো. শহীদুল ইসলামকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
অন্যদিকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-সচিব মো. নজরুল ইসলাম সরকারকে চুয়াডাঙ্গার ডিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। খাগড়াছড়ির ডিসি পদে নিয়োগ পেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
এদিকে জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীরকে ভিডিও কেলিঙ্কারির ঘটনায় ওএসডি করার পর পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) মোহাম্মদ এনামুল হককে ওই জেলার ডিসি করে পাঠানো হয়েছে। স¤প্রতি আহমেদ কবীরের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারী কর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলে দেশব্যাপী সমালোচনার সৃষ্টি হয়। জামালপুরসহ সারাদেশের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রাথমিক তদন্ত করে ওএসডি করেছি। তিনি বলেন, জামালপুরের ডিসির বিষয়টি অনেকের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এটি অনৈতিক কর্মকান্ড। একজন ডিসি হিসেবে তার যে দায়দায়িত্ব আছে সেখান থেকে সরে গিয়ে যে অনৈতিক কর্মকান্ডের কথা আমরা দেখেছি, এটি আমাদের কাছে লিখিত এসেছে এবং আমরা খুব ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে আমরা তাকে ওএসডি করেছি। এরপর তার বিরুদ্ধে আমাদের যে আইনগত ব্যবস্থা আছে, চাকরিবিধি অনুযায়ী আমরা সেই পদক্ষেপ নেব।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপারে যথেষ্ট সুযোগ সৃষ্টি করেছি, কাজকর্ম সহজ ও আরো গতিশীল করার জন্য জনমুখী করার জন্য তাদের অবকাঠামোগত বিভিন্ন রকম সুবিধা এরই মধ্যে দেয়া হয়েছে। আমরা ব্যুরোক্র্যাসিকে আন্তর্জাতিকমানের করার জন্য সবদিক থেকে চেষ্টা চালাচ্ছি। যখন আমরা ব্যুরোক্র্যাসিকে সুন্দরভাবে সাজাচ্ছি এবং নিয়মকানুনে বেঁধে এটা আরো উন্নত করছি, সেই সময় এরকম একটি ঘটনা সত্যি খুব অনভিপ্রেত। এটি সত্যি দুঃখজনক ঘটনা। বিষয়টি আমাদের অত্যন্ত আহত করেছে।
ভবিষতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেক্ষেত্রে শাস্তি কী হতে পারে- প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, অবশ্যই উদাহরণ সৃষ্টি করার মতো তার পানিশমেন্ট হবে। আমাদের চাকরির বিধানে যে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়ে গেছে সেটিই হবে। আমরা আশা করি বিষয়টি খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
একটি কমিটি করে আমরা দায়িত্ব দেবো। কমিটি ভালোভাবে তদন্ত করে বুঝে, কী ঘটেছে সেখানে এবং কতটুকু অনৈতিকতা সেখানে হয়েছে, সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে এক্সাম্পিলারি একটা প্রিমেটিভ মেজার্স নেবো। অল্প দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেবো। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি কমিটি গঠন করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখান থেকেই করলে যথেষ্ট হবে। এগুলো তারাই দেখেন। শুদ্ধাচার সার্টিফিকেট প্রত্যাহার করা হবে কি না- প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী জানান, অবশ্যই সেটি প্রত্যাহার করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি আমাদের আগামী দিনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইঙ্গিত দেয়। বিষয়গুলো যাতে আরো পরিচ্ছন্ন থাকে, কারণ সাধারণত এ ধরনের ঘটনা ঘটে না। এ ধরনের ঘটনা সত্যি আমাদের ব্যুরোক্র্যাসিতে যথেষ্ট পরিমাণে অস্বস্তি এনেছে। আমরা চাইব আগামী দিনে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। নৈতিকতা পরীক্ষা করে আগামী দিনে চারিত্রিক সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে এসব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কর্মকর্তা দেয়া হবে। ওই নারী শাস্তির মধ্যে আসছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে যারা
আছে তারা সরকারে যদি চাকরি করে থাকে, সরকারি কর্মচারী হয়ে থাকে, তাদের উভয়ের বিচার হবে, উভয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।