Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফিল্ডিংয়ে ‘অ-আ’তেই পড়ে আছে টাইগাররা!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

একেক জনের ক্যারিয়ারের সূর্য মধ্য গগন পেরিয়ে পশ্চিমে হেলে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বিশ্ব ক্রিকেটের সবারই এখন নিজেকে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যাওয়ার মোক্ষম সময়। অথচ এখনও কী না সবাই ফিল্ডিংয়ে সেই বাল্যশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন! ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক টাইগার সিনিয়রদের হাতে কলমে শেখাচ্ছেন একবারে বেসিক কিছু নিয়ম, কী করে বল ধরতে হয়, থ্রো করতে হয় এবং বল ধরা ও থ্রো করার সময় শারীরিক ভারসাম্যই বা কী করে রক্ষা করতে হয়! বিষয়টি খুব সহজেই বোধগম্য যে ফিল্ডিংয়ে তাদের অবস্থান কোথায়!
গতকালের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে এটাই ছিল সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দিনের ফিল্ডিং অনুশীলনের শুরুতে রায়ান কুক দেখিয়ে দিচ্ছিলেন এক হাতে বল পিক আপ এবং থ্রো। এর বেসিক নিয়ম হলো বলের পেছনে শরীর রেখে একটা পা রেখে বলটা ধরা। যাতে কোনো কারণে বলটা হাতে না লাগলেও পায়ে লেগে থেমে যায়। ফিল্ডিংয়ের এই শিক্ষা সাধারণত বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট অর্থাৎ ক্রিকেটের হাতে খড়ির সময় ক্রিকেটারদের আত্মস্থ করতে দেখা যায়।

কিন্তু অবাক করে দেওয়ার মতো ব্যাপার হলো রায়ান কুক এগুলো শেখাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শফিউল ইসলাম ও রুবেল হোসেনের মতো অভিজ্ঞদের! নতুনেরা তো ছিলেনই। প্রশ্ন হলো, ১৫ কিংবা তারও বেশি সময় ক্রিকেট খেলার পরেও ফিল্ডিংয়ের ‘অ-আ’ কেন শিখবেন এই অভিজ্ঞরা? এদের সবারই তো অবসরের সময় ঘনিয়ে এসেছে। শিষ্যদের অপরাগতায় উপায়ন্তু না দেখে বিষয়টি ব্যাখা করলেন কুক কোচ, ‘আপনি যে লেভেলেই থাকুন না কেন সেখান থেকেই ফিল্ডিংয়ে উন্নতি সম্ভব। তবে এটা ঠিক এগুলো সবই অনূর্ধ্ব-১৫ এর বেসিক। তখন থেকেই ফিল্ডিংয়ের এই বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। তবে যারা বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলে আসেনি যেমন; এবাদত হোসেন তাদের পক্ষে এগুলো আত্মস্থ কঠিন।’

গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি কোচের বিষাদগার শোনা গেল ক্যাচিং নিয়েও। বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে যা বিস্তৃত ছিল লঙ্কাভিযান অবধি। যার খেসারত ২২ গজের বিশ্বযুদ্ধে দিতে দিতে হয়েছে টেবিলের আট থেকে। আর শ্রীলঙ্কা সিরিজে বিব্রতকর হোয়াইটওয়াশে, ‘ক্যাচিংয়ে আমাদের ছেলেরা ধারাবাহিক নয়। যদিও বিশ্বকাপ ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে আমরা কিছু ভালো ক্যাচ দেখেছিলাম। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো ক্যাচিংয়ে তারা ধারাবাহিক হতে পারছে না। ফলে আগামি কয়েক দিন এই বিষয়টিতেই আমাদের ফোকাস করতে হবে।’

তাহলে ফিল্ডিংয়ের কোন লেভেলে আছে বাংলাদেশ, প্রাসঙ্গিক সেই প্রশ্নের উত্তরে কোচ জানালেন, ‘ফিল্ডিংয়ে আমরা টেবিলের মাঝামাঝি আছি। বিশ্বকাপ চলাকালীন নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আমাদের নিজেদের পরখ করে দেখার একটি ভালো সুযোগ ছিল। সেখানে আমি মাঝামাঝি দেখেছি। তবে শীর্ষ তিনে দেখলে আমি খুশি হতাম।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ