বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পৃথক বন্দুক যুদ্ধে সিলেট ও টেকনাফে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীসহ ডাকাত নিহত হয়েছে। আমাদের সংবাদদাতাদের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন :
বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার : টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত দেড়টায় স্থানীয় জাদিমুরা পাহাড়ের কাছে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। নিহত দুই রোহিঙ্গা হল, জাদিমুরা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. শাহ ও আবদু শুক্কুর। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে দু’টি বন্দুক ও ৯ রাউন্ড গুলি।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ দাশ জানান, গত ২২ আগস্ট টেকনাফের হ্নীলার যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা জাদিমুরা পাহাড়ের কাছে অবস্থান করার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়লে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে দুই রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ দু’জনকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেখানে ডাক্তার তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুটি বন্দুক ও ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ তিন সদস্য আহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ২২ আগষ্ট রাতে টেকনাফে হ্নীলার যাদিমুরা নিজ বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে (৩০) হত্যা করে। নিহত ওমর ফারুক উপজেলার হ্নীলা ইউপি’র জাদিমুরা এলাকার আব্দুল মোনাফ কোম্পানির ছেলে এবং হ্নীলা ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ও জাদিমুরা এম আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন।
সিলেট ব্যুরো : সিলেটের জকিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবদুস শহীদ (২৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। সে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার ধর্মদিহী গ্রামের মৃত নানু মিয়ার ছেলে। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মরিচা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
জকিগঞ্জ থানার ওসি মীর মো. আবদুল নাসের বলেন, মরিচা এলাকার প্রবাসী আব্দুল করিমের বাড়িতে গভীর রাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়। এসময় ডাকাত দলের সাথে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়। বাকি আট-নয় ডাকাত পালিয়ে যায়। নিহত শহীদের বিরুদ্ধে সিলেট জেলার কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও মোগলাবাজার থানায় ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে ৬টি মামলা রয়েছে বলে ওসি জানান। তিনি আরও বলেন, বন্দুকযুদ্ধের সময় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের টহলদল গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতপূর্বক মৃত আব্দুস শহীদ ডাকাতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনায় জকিগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপর সহযোগী আসামিদের গ্রেফতারে সিলেট জেলার সকল থানার সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।