বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার ও ময়মনসিংহে বিজিবি ও গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। গত বুধবার দিবাগত রাতে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত রোহিঙ্গারা ইয়াবা পাচারের সময় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। আর অপর ব্যক্তি অটোরিকশাচালক হত্যা মামলার প্রধান আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইয়াবা, দেশীয় বন্দুক, বিদেশি রিভলবার, ধারালো কিরিচ ও তাজা বুলেট উদ্ধার করে।
কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবার চালান নিয়ে অনুপ্রবেশকালে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা মাদক কারবারী নিহত হয়েছেন। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, উখিয়ার কুতুপালং ৭নং ক্যাম্পের ব্লক-ই-৩ এর ২৪নং রোমের বাসিন্দা মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে মো. সাকের (২২) এবং নয়াপাড়া মোচনী ক্যাম্পের বøক সি-৪ এর ২নং রোমের বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে নুর আলম (৩০)। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, বুধবার রাতে মিয়ানমার থেকে মাদকের চালান অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে কাটাখালীর নাফনদী পয়েন্টে অবস্থান নেয় টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের হোয়াইক্যং বিওপি ক্যাম্পের একটি টহল দল। কিছুক্ষণ পর কাঠের নৌকা নিয়ে কয়েকজন লোক এসে সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালালে বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করে।
এ সময় মাদক বহনকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করলে বিজিবির সিপাহী মতিউর রহমান (২৪) ও উজ্জ্বল হোসেন (২৬) আহত হন। পরে বিজিবি আত্মরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করে।
কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৫০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরি লম্বা বন্দুক, ২টি ধারালো কিরিচ ও ৩ রাউন্ড তাজা বুলেটসহ গুলিবিদ্ধ দুজন এবং আহত বিজিবি জওয়ানদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়।
বিজিবি জওয়ানদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মাদকবহনকারীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাদক পাচারকারীরা মারা যান। এ ঘটনায় পৃথক আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক যুবক নিহত হয়েছে বলে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দাবি করেছে, নিহত ব্যক্তি হত্যা মামলার আসামি। বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৩৫ মিনিটে উপজেলার পাগলা থানার চাকুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. এখলাছ উদ্দিন (৩০)। তার বিরুদ্ধে তিনটি ডাকাতি, দুটি মাদক, একটি হত্যা মামলাসহ মোট ছয়টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ডিবি পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ।
তিনি আরো জানান, গত ২৭ জুলাই রাতে এক অটোচালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে এখলাছের নেতৃত্বে একদল ডাকাত। গত বুধবার রাতে গোপন সূত্রে জানা যায় যে অটোরিকশার চালক হত্যা মামলার প্রধান আসামি এখলাছসহ বেশ কয়েকজন ডাকাত চাকুয়া এলাকায় অবস্থান করছে। এ সময় তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানোকালে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করলে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী এখলাছ উদ্দিনকে আহত অবস্থায় পাওয়া গেলে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডিবি পুলিশের এসআই আকরাম হোসেন ও কনস্টেবল ইলিয়াস মিয়া আহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি রিভলবার, একটি গুলি ও ২০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন ওসি শাহ কামাল আকন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।