পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, কাশ্মীরের মুসলমানদের নির্মম গণহত্যা, নারী-শিশুদের অমানবিক নির্যাতনসহ ধর্ষণের মহাউৎসব চলছে। কাশ্মীরে মানবতাবিরোধী সকল কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে। কাশ্মীরে গণহত্যা, খুন, ধর্ষণসহ ৩৭০ ধারা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে ভারত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছে জাতি তার তীব্র নিন্দা জানায়। মুসলিম রাষ্ট্রের একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ রকম দায়িত্ব জ্ঞানহীন বক্তব্যে জাতি বিস্মিত।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শ্যামপুর থানা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বেলাল হোসাইন আরিফীর সভাপতিত্বে ধোলাইপারস্থ ফেরদাউস সেন্টারে দাওয়াতী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক ও আলহাজ এমদাদুল ফেরদাউস।
তিনি আরো বলেন, আজ বাংলাদেশের সীমানা চিত্র উঠিয়ে ৪০০ মিটার ভেতরে দিয়ে দিচ্ছে এ ব্যাপারে সরকার নীরব কেন জাতি তা জানতে চায়। এছাড়া, একই দিনে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কদমতলী থানা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দায়িত্বশীলদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ
যারা কাশ্মীর ইস্যুকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলছেন তাদের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু কাশ্মীর সমস্যাকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেননি। ১৯৪৮ সালের ১ জানুয়ারী কাশ্মীর বিরোধের সমাধান ও নিষ্পত্তির জন্য জাতিসংঘের নীতিমালার ৬ষ্ঠ অধ্যায়ের ৩৫ ধারায় সিকিউরিটি কাউন্সিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু অভিযোগ দায়ের করে কাশ্মীর ইস্যুকে হিন্দুস্থানের বাইরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯৪৮ সালের ১৩ আগস্ট জাতিসংঘের গৃহীত গণভোটের প্রস্তাবটি এবং অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক বৈঠক প্রমাণ করেছে যে, কাশ্মীর ইস্যুটি কোনো বিধানেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে দলের পল্টনস্থ প্রধান কার্যালয়ে দলের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, খোন্দকার জিল্লুর রহমান, কাজী এ.এ কাফী, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, খান আসাদ, শেখ এ সবুর, শহুদুল হক ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনী।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন
এদিকে, গতকাল বিকেলে কামরাঙ্গীরচরস্থ মাদরাসায় এক সভায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ কাশ্মীরের জনগণের সাংবিধানিক অধিকার পুনরুদ্ধারের দাবিতে আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। মহানগরী আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।