পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জনে দেশের বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কাজে লাগানোর জন্য সব ধর্মের অনুসারীদের প্রতি আহ্বানজানিয়েছেন। গতকাল জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বঙ্গভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এ আহ্বান জানান।
বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এ দেশে সকল ধর্মের অনুসারীরা পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তাই আমাদের সুমহান ঐতিহ্য। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ঐতিহ্য অব্যাহত রেখে জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে তা কাজে লাগানোর জন্য আমি দেশের সকল ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানাই।
প্রেসিডেন্ট বলেন, একটি মানবিক সমাজ গঠনে পারস্পরিক সদ্ভাব ও শ্রদ্ধাবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই সকল ধর্মে পারিবারিক বন্ধনের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, পারিবারিক কাঠামোর বিবর্তন, ক্রমবর্ধমান নগরায়ন ও আধুনিকায়নের ফলে মানুষের কর্মব্যস্ততা বাড়ছে। এতে পারিবারিক বন্ধন ক্রমান্বয়ে শিথিল হয়ে আসছে এবং ঘটছে নানা সহিংস ঘটনা।
প্রেসিডেন্ট বলেন, মানুষ সামাজিক জীব। তাই শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত না থেকে সমাজ থেকে অন্যায়, অবিচার ও কুসংস্কার দূর করতে সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। জন্মাষ্টমী উৎসবকে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা ও আনন্দোৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এর আবেদনকে একটি কল্যাণকামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, তা হলেই একটি সুখি-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল ভাবনা। তিনি বলেন, হিন্দুধর্ম মতে অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় সমাজ সংস্কারে শ্রীকৃষ্ণ যুগে যুগে আবির্ভূত হয়েছেন। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ঐতিহ্য অব্যাহত রেখে জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে তা কাজে লাগানোর জন্য প্রেসিডেন্ট দেশের সকল ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানান।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রেসিডেন্ট দরবার হলে ঘুরে ঘুরে অভ্যর্থনায় উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। হিন্দু ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পেশার লোকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তারা জন্মাষ্টমী উপলক্ষে প্রেসিডেন্টকে ফুলের তোড়া উপহার দেন। সংসদ সদস্যবৃন্দ, রাষ্ট্রদূতগণ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার, হিন্দু সম্প্রদায়ের সিনিয়র সাংবাদিক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।