পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০০৪ সালের একুশে আগস্টের নৃশংস গ্রেনেড হামলার ভয়াবহতা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা সে সময়ের বিএনপি সরকারের পক্ষ থেকে, সরকারি মদদে করা হয়েছিল। বিএনপি জামায়াতের পৃষ্টপোষকতা ছাড়া ২১ আগস্টের মতো ঘটনা ঘটানা সম্ভব ছিল না এটা আজকে প্রমাণিত সত্য। এটা নিয়ে আমরা একটা রায়ও পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, যুদ্ধে ব্যবহৃত গ্রেনেড দিয়ে রাজনৈতিক সমাবেশে উপর হামলা করা হয়েছিল। বারবার ফোন করে হামলাকারীরা নিশ্চিত হবার চেষ্টা করেছিল আমি মারা গেছি কিনা। খালেদা জিয়ার সরকার একটি শোকবার্তাও তৈরী করে রেখেছিল। এ হামলা সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে বেচেঁ গিয়েছিলাম। অথচ বিএনপি প্রচার করেছিল আমি হ্যান্ড ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলাম এবং নিজেরাই এ হামালা করেছি। কিন্তু আল্লাহর মাইর, দুনিয়ার বাহির- আজ খালেদা জিয়ার কী পরিণতি!
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাচাঁ মরা আল্লাহর হাতে, যতদিন বাচঁবো দেশের জন্য, জনগণের জন্য কাজ করে যাব। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ করে যাব, সোনার বাংলা গড়বো। তাহলে বেহেশত থেকে বাবা-মা’র রুহ তা দেখে শান্তি পাবে। গতকাল বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ও আহতদের স্মরণে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, সেদিন শুরুতে পর পর তিনটি গ্রেনেড হামলা হয়। প্রথমে ভেবেছিলাম বোমা হামলা, পরে জেনেছি যে গ্রেনেড মেরেছিল তা যুদ্ধে ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড। গ্রেনেড হামলার সময় হানিফ ভাই ও মায়া আমাকে ঢেকে রেখেছিল। গ্রেনেডের স্পিন্টারে আঘাতে হানিফ ভাইয়ের মাথার রক্ত আমার গায়ে পড়ছিল। এরপর আমি একটু উঠে দাড়াতেই আবারও হামলা। গাড়িতে উঠার সময় গুলি করা হয়। পর আমি একটু আমি ওই এলাকা ছেড়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় লাঠিচার্জ। সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে পানি দিয়ে আলামত মুছে ফেলা হয়। আমি জানতে পেরে নানককে বলি, আলামত নষ্ট করছে তোমরা ওখানে যাও। আমাদের নেতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে গ্রেনেড হামলার স্থলগুলোতে লাল পতাকা পুঁতে আলামত রক্ষার চেষ্টা করে। অবিস্ফোরিত গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছিল। সেটি সেনা অফিসার নিয়ে যায়, সে সেটা রাখতে চেয়েছিল বলে সে চাকরি হারায়। কোনও আলামত না রাখার চেষ্টা তারা করেছিল। সে দিন এ হামলা সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল।
হামলা সরকারি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সে সময় হাইকোর্টের বিচারপতি জয়নাল আবেদিনকে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করে। তারা ফরমায়েশি রিপোর্ট দেয়। সাধারণ মানুষ ধরে এনে জজ মিয়াকে আসামি করে আক্রমণ ও ষড়যন্ত্রের হোতা হিসেবে হাজির করে নাটক সাজানো হয়। এখন আস্তে আস্তে সবই বের হচ্ছে। সাধারণ গ্রামের মানুষ সে এত গ্রেনেড কোথা থেকে কিনবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা অনেক কিছু বের করে এনেছেন। এটিও বের করতে পারেন, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ৫ নম্বরে তার শ্বশুরবাড়িতে আগের ১০ মাস থাকলো। ঠিক ১ আগস্ট ক্যান্টনমেন্টের বাসায় কেন চলে যায়, এ সময় ওখানে বসে বসে তার কাজ কী ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ওই দিন বাসায় পৌঁছে আমি সবার খোঁজ নেওয়া শুরু করলাম। আহতদের উদ্ধার করতে কাউকে আসতে দেওয়া হয়নি। ঢাকা মেডিক্যালে বিএনপিপন্থী ড্যাবের চিকিৎসকরা হাসপাতাল থেকে চলে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ইমারজেন্সি খোলা নেই বলে আহতদের ভর্তি করা হয়নি। আমাদের যারা সমর্থক তারাই সেদিন কাজ করেছে, আমাদের লোকজন রক্ত দিয়েছে। ডা. রোকেয়া (বর্তমান আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক) প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জনকে এনেসথেসিয়া দিয়েছিল। এতো বড় ঘটনা, ২৪ জন মানুষ মারা গেল। সরকারের কেউ খোঁজ নিল না, কোন এমপি মন্ত্রী দেখতে গেল না।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি চেষ্টা করেছি সারা ঢাকা শহরের হাসপাতালের খোঁজ নিয়েছি। আমি খুঁজে খুঁজে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি, পরে অনেককে বিদেশে পাঠিয়েছি। শান্তিনগরের ক্লিনিকে সাহারা আপাকে (বর্তমান সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন) খুঁজে পেলাম। সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলো, শেখ হাসিনা হ্যান্ডব্যাগে গ্রেনেড এনে নিজে মেরেছে। আমরা স্যুইসাইড করতে গিয়েছি যেন। অতগুলো গ্রেনেড হাতে করে নিয়ে যাওয়া সোজা কথা নয়। আমি এক্সপার্ট হলাম কবে? ওরা কী না পারে। মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে দিলো। স্কুলের ছোট বাচ্চা থেকে বড় সবার মুখে এই কথা যে আমরা নিজেরাই এই হামলা করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বেঁচে থাকার কথা নয়। ওরা ভাবেনি যে বেঁচে থাকবো। পরে অনেক কিছুই জেনেছি। অনেক ছোট ছোট ঘটনা আমি জানি। যারা হামলা করেছে তারা এক জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। সেখান থেকে ফোন করেছে যে আমি মারা গেছি কী না। খালেদা জিয়ার তৈরি করা ছিল যে আমি মরলে পরে একটা কন্ডোলেন্স জানাবে। সেটাও না কী তার প্রস্তুত করা ছিল। কিন্তু আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন। সেটাই বড় কথা।
তিনি বলেন, জেলাখানায় গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছিল। এক সাংবাদিক লিখলো কারাগারের কাছের কোন ভবন থেকে এটা নিক্ষেপ করা হয়েছিল ভিতরে। কিন্তু এমন কোন ভবন আদতে ছিল না। আসল ঘটনা হল কারাগারের আসামীদের মধ্য থেকে হামলাকারীদের সংগ্রহ করা হয়। তাদের এ্যম্বুলেনেস করে নিয়ে আসা হয় এবং আবার পৌঁছানো হয়। তাদের কাছে আরো অনেক গ্রেনেড ছিল। তারই একটি জেলাখানায় পাওয়া যায়।
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণ করে তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামা দুজন যে মারা গেল তাদের খবর কেউ নেয়নি, লাশও কেউ নেয়নি। এখন ধীরে ধীরে সবই বের হচ্ছে। কীভাবে ওই জজ মিয়াকে নিয়ে এসেছে। একজন সাধারণ মানুষকে নিয়ে এসে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আল্লাহর মাইর, দুনিয়ার বাইর। খালেদা জিয়া আমাকে অভিষাপ দিয়েছিল ১০০ বছরেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী হওয়া তো দূরের কথা বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারবো না। কারণ তারা জানতো আমি তো মারা যাব। কিন্তু আজ খালেদা জিয়ার কি অবস্থা। আল্লাহই বিচার করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক পরে মামলা করে আমরা একটা রায় পেয়েছি। আমরা আশা করি এর বিচার হবে। কিন্তু সে দিন যাদের আমরা হারিয়েছি তাদের তো আর ফিরে পাবো না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া তার দায় এড়াতে পারেন না, বাবর তো স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিল। যদিও খালেদা জিয়াকে এ মামলায় আসামি করা হয়নি।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত আমাকে হত্যা করতে চেয়েছে, কিন্তু পারেনি। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে, কারণ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে এবং দেশের মানুষের শান্তি চায়। কিন্তু যখনই আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যায় তখনই বিএনপি গণতন্ত্রের নামে হত্যাকান্ডে লিপ্ত হয়। বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন আমার খারাপ লাগে। কারণ যারা গণন্ত্রের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের মুখে গণতন্ত্র মানায় না।
তিনি বলেন, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করেছে। পঙ্গু করেছে। অত্যাচার করেছে। চোখ তুলেছে। পা কেটে দিয়েছে। কত পরিবারকে ধ্বংস করেছে। ঠিক হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী একাত্তরে আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে, হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ঠিক বিএনপি একইভাবে। এখানে জিয়াউর রহমান শুরু করেছিল। এরশাদও সেই একই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে। খালেদা জিয়াও সেই একই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে। তাদের একটাই উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ যেন কখনো ক্ষমতায় আসতে না পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাচাঁ মরা আল্লাহর হাতে। মৃত্যুর ভয়ে ঘরে বসে থাকি না। দেশের জন্য, জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমার বাবাও দেশের জন্য কাজ করেছেন, আজীবন কষ্ট করেছেন কিন্তু কোন সুখ করেননি। ক্ষমতায় আসার মাত্র সাড়ে তিন বছরে যেই দেশটি গুছিয়ে এনেছেন এমন সময় তাকে হত্যা করা হয়। এরপর ২৯ বছর কোন উন্নয়ন হয়নি দেশে। আওয়ামী লীগের আমলে উন্নয়ন শুরু হয়। এখনো বাবার সোনার বাংলা গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যতদিন বেচেঁ থাকবো কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, মোজাফফর হোসেন পল্টু, আতাউর রহমান, গোলাম মাওলা নকশ্বন্দী, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, আব্দুর রাজ্জাক, কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ড.আব্দুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জি. আবদুস সবুর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, কেন্দ্রীয় সদস্য মাফাজ্জল হোসেন মায়া চৌধুরী, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, মারুফা আক্তার পপি, রিয়াজুল কবির কাউসার, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, প্রচার সম্পাদক আখতার হোসেন, ঢাকা উত্তরের সভাপতি রহমতউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, যুগ্ম-সম্পাদক এমএ কাদের খান, এস এম মান্নান কচি, হাবিব হাসান, উপ প্রচার সম্পাদক আজিজুল হক রানা, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম পাঠান মিলন।
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, প্রেসিডেয়াম মেম্বার মুজিবুর রহমান চৌধুরী, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাউছার, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, মহিলা লীগের মাহমুদা বেগম কৃক, শেখ মিলি, ড. সেলিনা আক্তার, যুবমহিলা লীগের নাজমা আক্তার, অপু উকিল, সাবিনা আক্তার তুহিন, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান জয়, সোহেল রানা, শাহাদাত হোসেন রকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ। যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।