বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিটি কর্পোরেশনে নিয়োজিত দৈনিক ভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের প্রণোদনা হিসেবে বেতন বৃদ্ধির ফলে প্রতিমাসে ৫৪ লাখ টাকা করে বছরে আরও ৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয় বাড়লো চসিকের। গতকাল (মঙ্গলবার) নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কর্পোরেশনের পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের ৪৯ তম সাধারণ সভায় বেতন বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
এতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ হারে এবং ডোর-টু-ডোর কর্মচারীরাও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর মতো একই হারে বেতন পাবে। চসিকে ৬৩১০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী দৈনিক ও নির্ধারিত বেতনে কর্মরত রয়েছে। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দায়িত্ব গ্রহণ পরবর্তী প্রথম ধাপে ১৫ শতাংশ এবং এবার দ্বিতীয় ধাপে এ বেতন ভাতা বৃদ্ধি পায়।
মেয়র নাছির বলেন, নগরীতে ১ লাখ ৮৫ হাজার হ্যোল্ডিং রয়েছে। এত সংখ্যক হ্যোল্ডিং থাকলেও এর বিপরীতে কাক্সিক্ষত ট্যাক্স পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও নগর পরিসেবা সচল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চসিককে। সিটি কর্পোরেশন পূর্বের মত কর ও রেইট আদায় করছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, কর ও রেইট আদায়ে সরকারী নিদের্শনার পরেও কোনো কর ও রেইট এখনো পর্যন্ত বাড়ানো হয়নি। নিয়মিত যে সকল স্থাপনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাও আমাদের হিসেবের বাইরে। এগুলোকে হোল্ডিংয়ের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে আয় বৃদ্ধি পাবে না। তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান বিষয়ে নগরবাসীকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করার জন্য কাউন্সিলরদের প্রতি আহŸান জানান।
সভায় চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ নগরীর পাইপ লাইন সংস্কার ও সংযোগ কাজে কাউন্সিলরদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, নগরীতে পুরানো পাইপ লাইন সংস্কার ও নতুন পাইপ লাইন সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। তিনি কর্পোরেশন এলাকার কাউন্সিলরদের কাছ থেকে স্ব স্ব এলাকার সড়কের তালিকা চেয়েছে। ৩০ আগস্টের মধ্যে তালিকা প্রেরণ করতে সিটি মেয়রের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তালিকা অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন করা হলে আগামী একশ বছরে আর পাইপ লাইন সংস্কার বা সংযোগ করতে হবে না।
সভায় প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন-উর-রশিদ হাজারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।