Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রুয়েট শিক্ষকের পর এবার রুয়েট ছাত্রী শ্লীলতাহানীর শিকার

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০৯ পিএম

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষক বখাটেদের হাতে স্বস্ত্রীক লাঞ্চিত হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতে এবার শ্লীলতাহানির শিকার হলেন রুয়েটের এক ছাত্রী। চলন্ত অটোরিকশায় শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে তাকে অটো থেকে ফেলে দেয়া হয়। রুয়েটের আইসিই বিভাগের ওই ছাত্রী তার ফেসবুক পেজে সোমবার বিকেলে সেই ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন।

সানজানা তাহসিন নামের ওই ছাত্রীর ফেসবুকে দেয়া বর্ণনাতে দেখা যায়, গুন্ডা গোছের চার জন মানুষ অটোর ভেতরে জোর পূর্বক তার শ^রীরে ইচ্ছে মতো হাত দেয়। এসময় ছাত্রী চালককে অটো থামাতে বললেও থামান হয়নি। পরে নগরভবনের কাছে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চলে যায়।

ছাত্রীর পোস্টটি হুবহু তুলে ধলে ধরা হলো- ‘আমার বাসা উপশহর। বাসা দূর বলে আমি সাধারণত রুয়েট থেকে রেইলগেট পর্যন্ত অটোতে করে যাওয়া আসা করি। আজকেও প্রতিদিনের মতো অটো নিলাম, সাথে ছিল দুইজন অপরিচিত রুয়েটিয়ান ভাইয়া আর একজন ভদ্রলোক। রুয়েটিয়ান ভাই দুইজন চিশতিয়ার সামনে নেমে গেলেন।

ভদ্রা পার হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ অটোওয়ালা অটো থামায় দিলো, সামনে থাকা ভদ্রলোক কে বললো, “আপনি নেমে যান, আমি নিজস্ব লোক তুলবো”! আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই ভদ্রলোক কে জোরপূর্বক নামিয়ে চারজন গুন্ডা উঠে অটো চালানো শুরু হয়ে গেলো! ভদ্রা থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত রাস্তা মোটামুটি নির্জন, ইচ্ছামত সেই চারজন আমাকে স্পর্শ করা শুরু করলো। হাজারবার অটো থামানোর জন্য চিৎকার করার পরও অটোওয়ালা পশুর মত হাসতে থাকলো।

পরে নগরভবনের সামনে পুলিশ দাড়ানো দেখে ভয় পেয়ে তারা অটো থেকে ধাক্কা মেরে আমাকে ফেলে দিয়ে দ্রুত চলে গেলো!!! যতক্ষণে নিজের পায়ে দাঁড় হতে পেরেছি ততক্ষণে অটো বহুদূর। কাহিনীটা শুধু শেয়ার করলাম। এইটা বাংলাদেশ, কোনো বিচারের আশা আমি করছিনা।

বি.দ্র. : অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে আমার পোশাক কি ছিলো? সাধারণ বাঙালী নারীর মত সালোয়ার কামিজ’

এবিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত থানায় আসেনি। তবে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও উপপুলিশ কমিশনার জানান, রুয়েটের ছাত্রীর ফেসবুক পোস্টটি আমাদের নজরে এসেছে। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে আমরা স্বউদ্যোগে ছাত্রীর পরিচয় সংগ্রহের চেষ্ট করছি। ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যৌন হয়রানি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ