পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদের ছুটি কাটিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে বাস, লঞ্চ ও ট্রেনে ফিরছে তারা। বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেল স্টেশনে মানুষের ঢল। সড়কপথে এবার যানজট নেই বললেই চলে। তবে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাটে গাড়ির চাপ বাড়ায় দক্ষিণাঞ্চলের সড়কপথের যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে, সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ট্রেনের যাত্রীদের ঈদের আগের মতোই সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি ট্রেন ২ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে চলাচল করছে। ভুক্তভোগিদের মতে, ঈদের আগে যেমন ভোগান্তি ছিল ঈদের পরে ঢাকায় ফিরতেও প্রায় একই রকম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া বাস ও লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মোবাইল কোর্টের অভিযানে বেশ কয়েকটি বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রমান মিলেছে। এজন্য বাসগুলোর মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে যাত্রীদেরকে অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেয়া হয়েছে।
স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে গতকাল ঢাকামুখি মানুষেল ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে হাজার হাজার যাত্রী নামতে দেখা গেছে। লঞ্চের যাত্রীতে এক সময় সদরঘাট এলাকা জনস্রোতে রুপ নেয়। যাত্রীরা জানান, তারা কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই আসতে পেরেছেন। এজন্য সবাই খুশি। তবে সদরঘাটে নেমে গাড়ি পেতে কষ্ট হচ্ছে। পায়ে হেঁটে চলতে হচ্ছে বহুদুর পর্যন্ত। মালামাল নিয়ে হাঁটাও কষ্টকর। তারপরেও যদি গাড়ি পাওয়া যেতো তাও কথা ছিল।
গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ ও ফুলবাড়ীয়া বাস টার্মিনালে দেখা গেছে হাজার হাজার যাত্রী ঢাকায় ফিরছেন। আলাপকালে যাত্রীরা জানান, ফিরতি পথে সড়কে তেমন যানজট ছিল না। তবে টিকিট পেতে ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। এমনকি অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা জানান, প্রতিটি বাসেই দুই থেকে চারশ’ টাকা করে বেশি ভাড়া নিয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে, বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারি ও এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। কিন্তু তা বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না। অথচ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা সেই ঘোষণাকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে।
রাজধানীতে ফিরে আসা যাত্রীরা জানান, স্বজনদের মাঝে থাকার আনন্দ পেছনে ফেলে ঢাকায় ফেরাটা কিছুটা বিষাদের। তা সত্তে¡ও জীবন সংগ্রামের জন্য এ শহরে আসতে হয়। ফিরতে হয় আয়- রোজগারে। তাই তো শত ভোগান্তির মধ্যেও ক্ষণিকের আনন্দ মিটিয়ে কর্মব্যস্ত নগরীতে ফিরে আসতে হয়। ট্রেনের যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকা ছাড়ার সময় ট্রেনের টিকিট পেতে যেমন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে, তেমনি অনেককে ট্রেনের আসন পেতেও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। ঈদের আগে থেকেই প্রায় প্রতিটি ট্রেন চলছে বিলম্বে। গতকাল রংপুর এক্সপ্রেস চলেছে প্রায় ২০ ঘণ্টা বিলম্বে। দিনাজপুরগামী একতা, দ্রুতযান ও নীলফামারীগামী নীলসাগর ট্রেনও চলছে বিলম্বে। পঞ্চগড় থেকে ঢাকামুখি বিরতিহীন এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলছে জ্জ ঘণ্টা বিলম্বে। আর ঈদ স্পেশালগুলোর কোনো টাইমটেবলই ছিল না। পুরোটাই বিশৃঙ্খল অবস্থা। দিনাজপুর থেকে আসা একতা এক্সপ্রেসের একজন যাত্রী জানান, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ট্রেনের ভেতরে বাজে অবস্থা ছিল। অনেকে দাঁড়িয়ে এসেছেন। এ কারণে সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও জিনিসপত্র নিয়ে আসতে খুব কষ্ট হয়েছে।
কমলাপুর স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী থেকে ছেড়ে এসে ঢাকামুখি ধূমকেতু এক্সপ্রেস ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে কমলাপুর আসার কথা ছিল। তবে এটি আসার সম্ভাব্য সময় ছিল ১০টা ২০ মিনিট।
খুলনা থেকে ঢাকামুখি সুন্দরবন এক্সপ্রেস ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে কমলাপুর আসার কথা থাকলে এটি সকাল ১০ টায় আসার কথা বলা হয়। চিলহাটী থেকে ঢাকামুখি নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৭টা ১০ মিনিটে আসার কথা ছিল। পরে সেটি আসার সম্ভাব্য সময় দেয়া হয়েছে বেলা ১১টা। পঞ্চগড় থেকে ঢাকামুখি একতা এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ১০ মিনিটে কমলাপুর আসার কথা থাকলেও সেটি বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কমলাপুরে পৌঁছায়নি। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম জানান, ফিরতি পথে যাত্রীদের চাপের কারণে ট্রেন আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।