গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গতকাল বেলা পৌনে বারোটায় মারা গেছেন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া গ্রামের মৌসুমি আক্তার (২৫)। অন্যদিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে মাদ্রাসা ছাত্র আবুবকর সিদ্দিক সিয়ামকে গত বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথেই সে মারা যায়।
নিহত মৌসুমি আক্তার স্বামী মামুনসহ রাজধানী আগারগাঁওয়ের মোল্লাপাড়ায় বসবাস করতেন। নিহতের পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বরে বেশ কিছুদিন যাবতই ভুগছিলেন মৌসুমি। গত বুধবার মহাখালী টিবি হাসপাতালে নেয়ার পর তার ডেঙ্গু শনাক্ত করা হয়। অবস্থার উন্নতি দেখতে না পেয়ে সেখান থেকে তাকে সেদিনই শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় গতকাল সকাল ১০টায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিলো। জরুরি বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) কর্তব্যবত চিকিৎসক বেলা পৌনে বারোটায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে সিয়াম টামটা পশ্চিমপাড়া নোয়াবাড়ির জাকির হোসেনের ছেলে ও মোহাম্মদপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র সিয়াম পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে বাড়িতে আসে। জ্বর নিয়েই সে বাড়িতে এসেছিলো বলে জানিয়েছে সিয়ামের পরিবার। গত মঙ্গলবার শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্ত্য কমপ্লেক্সে তার ডেঙ্গু চিহ্নিত হয়। পরে সেখান থেকে তাকে গত বুধবার সকালে কুমিল্লায় রেফার করা হয়। সেখান থেকে ঢাকা নেয়ার পথেই সন্ধ্যায় কাঁচপুর ব্রিজের কাছাকাছি সিয়ামের মৃত্যু হয়। মৃত সিয়ামের পরিবারে তার বাবা-মা ছাড়াও দুই বোন রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে ৮১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জন ভর্তি হয়েছে। গত পহেলা জুলাই থেকে সর্বমোট ৪৫০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় আক্রান্ত ৩০০ জন। এদের ২৫৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেলেও ঢাকায় রেফার করা হয় ১১৪ জনকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।