Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুবিতে মশার প্রকোপ বৃদ্ধি , আতঙ্ক ডেঙ্গু

কুবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:০৬ পিএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ক্যাম্পাসে দিন দিন বেড়ে চলছে মশার প্রকোপ। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দিন-রাতে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে মশার কামড়ে। এমনকি শ্রেণিকক্ষ, আবাসিক হল, লাইব্রেরিসহ সব জায়গাতেই মশার উপদ্রব। এই নিয়ে ডেঙ্গু রোগে আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

দিনের বেলায় কোথায় বসে পড়াশোনা ও আড্ডা দেওয়া যায় না। এক জায়গা বসলেই ঘিরে ধরছে মশার ঝাঁক। আবাসিক রুমে মশার কয়াল জ্বালিয়েও কোন রক্ষা পাচ্ছে না। ফলে দিনের বেলায়ও মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হয় আবাসিক শিক্ষার্থীদের।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন জায়গায় ডাস্টবিন থাকলে যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। এতে বিভিন্ন অনুষদ, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ হাসিনা হল, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হল, লাইব্রেরি, মসজিদ এবং ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্থানে দিনের বেলায় মশার প্রকোপ কম থাকলে সন্ধ্যা নামতে বেড়ে যায় মশার উপদ্রব।

এই নিয়ে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন বলেন, মশার জ্বালায় পড়ার টেবিলে বসতে পারি না। দিনের বেলায় মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হয়। এমনকি মশার কয়াল জ্বালিয়েও রেহায় পাওয়া যায় না। যারা গনরুমে থাকে তাদের জন্য তো অনেক সমস্যা হচ্ছে। খুব দ্রুত প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

এই নিয়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী রবিউল হোসেন বলেন, হলে তো মশার জন্য পড়তে পারি না। এমন কি ক্লাসেও বসা যায় না। বিভিন্ন অনুষদের আশেপাশে ময়লা ফেলার কারণে ক্লাসেও ব্যাঘাত ঘটে। প্রশাসনের পক্ষে থেকে ময়লা ফেলার ডাস্টবিন দিলেও সেগুলো প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করা হচ্ছে বা। ফলে দিন দিন বাড়ছে মশার বংশ বিস্তার।

নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাহিদা আক্তার নীড়া বলেন, আমি মশায় খুবই অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। সন্ধ্যা হলেই বেড়ে যায় মশার প্রকোপ। যতক্ষণ মশার কয়াল ব্যবহার করি ততক্ষণ ভাল থাকা যায়। কিন্তু মশার কয়েল দিয়ে কতক্ষণ থাকা যায়। আবাসিক এবং ক্লাস রুমে মশা জ্বালায় পড়াশোনাও করতে পারছি না।

আবাসিক শিক্ষক ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাহাদ জিয়া বলেন, শীতকাল যেহেতু চলে গিয়েছে সেহেতু মশা একটু বেড়ে যাচ্ছে। যদি আগে থেকে উদ্যোগ নিলে হয়তো মশা এই পরিমাণ বাড়তো না। তাই প্রশাসনের উচিত খুব দ্রুত একটা ব্যবস্থা নেওয়া।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমি যেহেতু এখন জানলাম। ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রব কমানোর জন্য আমরা খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিব।ax



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডেঙ্গু

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ