বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের ফুলপুরে ঈদ উল আযহার সকালে পশু কোরবানির পর পরই পৌর এলাকার পাড়া মহল্লায় ও ইউনিয়নের গ্রাম-গঞ্জে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পিস হিসেবে গরু ও খাসির চামড়া সংগ্রহ করেন। একেকটি গরুর চামড়া আকার ভেদে ২'শ থেকে ৬শ টাকা পর্যন্ত সংগ্রহ করেছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এক ব্যবসায়ী বলেন, ৬শ টাকা দিয়ে কিনে নিলাম, কিন্ত বিক্রি করলাম ৪'শ টাকা।
এদিকে, ঈদের দিন বিকাল থেকেই ফুলপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ছোট ট্রলী, ভ্যানে ও রিক্সায় করে কাঁচা চামড়া নিয়ে আসতে শুরু করেন ফুলপুর বাসষ্ট্যান্ড অস্থায়ী চামড়ার হাটে। ফুলপুরের এই চামড়ার হাটে পানির দরে বিক্রি করতে হয়েছে কোরবানির চামড়া। পানির দরে চামড়া বিক্রি হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। ট্যানারী প্রতিনিধি ও আড়ৎদাররা সিন্ডিকেট করে কোরবানীর পশুর চামড়া কম দামে কিনছেন অভিযোগ মৌসুমী ব্যবসায়ীদের।
এবছর ঢাকার বাইরে প্রতিবর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ধরা হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।কিন্তু ফুলপুরে তা কেউ মানেনি।
ঈদের রাতে ফুলপুর বাসস্ট্যান্ডে চামড়ার হাটে গেলে চামড়া ব্যবসায়ী সুমন মিয়া জানান, খাশির চামড়া ১০ থেকে ৩০ টাকায কিনা হচ্ছে। আর গরুর চামড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৩'শ টাকায় কিনতাছি। বৈঠামারী গ্রামের রাকিবুল ইসলাম মাহফুজ বলেন, আমরা সাত জনে মিলে ৬৫ হাজার টাকায় একটি গরু কোরবানী করেছিলাম। পরে এর চামড়া নিয়ে পড়তে হয় বিপাকে। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও কেউ চামড়া নিতে চায় না। অবশেষে একজন পাইকারের নিকট যাইস্যা বিক্রি করেছি। ঈদের দিন সোমবার রাতে ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চামড়া বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় চামড়ার দর খুবই কম। রূপসী বাঁশাটী, বালিয়া, বওলা ও পাগলা গ্রামে খবর নিয়ে জানা যায়, ওইসব এলাকায় চামড়ার দর বাসস্ট্যান্ডের চেয়েও কম। উপজেলার পারতলা গ্রামের আবুল কাসেম ৪টি গরুর চামড়া নিয়ে আমুয়াকান্দা ব্রিজের গোড়ায় অসহায়ের মত বসে আছেন। তিনি জানান, ২ ঘন্টা ধরে বসে আছি। আমার ৪টা চামড়া ৫'শ টেহার উপরে কেউই দাম কয় না। তবে জামিয়া মাদানিয়া দারুল উলূম গোদারিয়ার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল খালেক জানিয়েছেন তাদের ৫৩টি চামড়া প্রতিটি ৬শ টাকা করে বিক্রি করেছেন। আর খাশী বিক্রি করেছেন ৩০ টাকা করে।
চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৫'শ টেহার উপরে অহন কোন চামড়া কিনছি না। ছাগল খাশীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাগল খাশী আমরা কিনি না।
হালুয়াঘাট উপজেলার নড়াইল গ্রামের মোশাররফ হোসেন রিপন বলেন, আমরা ৫ জনে একটা গরু কোরবানী দিছি। চামড়া বিক্রি করে ভাগে পাইছি মাত্র ১০০ টাকা। অন্তত ১০ টা মাদ্রাসা থেকে চামড়ার টাকা চাইয়া গেছে। আর আশপাশের গরিবরা তো আছেই। অহন কারে কইথ্যে দিব, বলেন? আমুযাকান্দা গ্রামের মোতালেব চামড়ার দর পতনের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, চামড়ার দর পতনের কারণে মাদ্রাসার এতিম অনাথ ও নিঃস্ব গরিবরা বঞ্চিত হবে। বিষয়টি বিবেচনার জন্য তিনি সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।